দেশের জাতীয় পর্যায়ের একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২১’ প্রতিযোগিতায় অনিয়মের অভিযোগ আনলেন মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পাল। এমনকি গতকাল রাতে ফেসবুক লাইভে এসেও তিনি এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। শান্তা বলেন, মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ অডিশনে আমি প্রায় চার ঘণ্টা ছিলাম। আমার সঙ্গে আরও ছয়জন ছিলেন। মাঝে হঠাৎ দেখি আমাদের সিনিয়র একজন মডেল ভেতরে ঢুকলেন। তার নাম মিথিলা। ভাবলাম হয়তো কোনো কাজে তিনি এসেছেন। এর পর বের হয়ে তিনি ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন।
তিনি যা বললেন তা শুনে আমি অবাক। তিনি নাকি প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছেন! এমন ঘটনার পর মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের একজনকে ফোন দেন শান্তা। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি যখন ফোন দিলাম আমাকে বলা হলো মিথিলা আপু আগেই অডিশন দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমার সিরিয়াল ছিল ১৯২, আর মিথিলা আপুর ছিল ২০০ এর র ওপরে। তাহলে তিনি কীভাবে আগে অডিশন দিলেন।
শান্ত পালের এই খবর প্রকাশ করেছেন কলকাতার গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’। সেখানে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর শফিক ইসলামের বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে। তিনি বলেন, যারা বাদ পড়েছে, তারা নিজেদের প্রথম পঞ্চাশে দেখতে না পেয়ে হিংসায় এই ধরনের মিথ্যাচার করছে। শান্তা পাল বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক লাইভে বলেন, মিস ইউনিভার্সের সব প্রতিযোগীরা কোথায়?
তোমরা কি দেখোনি মিথিলা অডিশন দেয়নি? তোমরা তো বলেছিলে, এই খোলা জামার মেয়ে অডিশন দেয়নি। আজ তোমরা কই গেলা। হ্যাঁ, ভিআইপি অডিশনের বিষয় আলাদা। নিজের সামনেই ক্যামেরার সামনে ইন্টারভিউ নিতে দেখেছিলাম। আর সেটি অডিশনের আগে। গর্বিত বাংলাদেশ! ভালো তো!