পরপারে চলে গেছেন মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটকের অভিনেতা মুজিবুর রহমান দিলু। আজ (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর গুলশানের একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে অভিনেতা দিলুর বয়স হয়েছিল বছর ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন এবং তার ছেলে অয়ন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংসপ্তক ধারাবাহিক নাটকের মধ্য দিয়ে দিলু আলোচিত হন। ওই নাটকে মুজিবুর রহমান দিলু মালু চরিত্রে অভিনয় করেন। দিলু একজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন।
তার ছেলে অয়ন রহমান জানান, গত বুধবার সকালে মুজিবুর রহমান দিলুর অসুস্থত হয়ে পড়েন। ফুসফুসে সমস্যা ধরা পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ভর্তির পরই চিকিৎসক জানিয়েছেন, বাবার বাঁ পাশের ফুসফুস ৭০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। আর ডান পাশেরটা ১০ শতাংশ। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। ঐদিনই শুক্রবার সন্ধ্যায় আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সকল প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে আজ না ফেরার দশে চলে যান দিলু।
অভিনয়ের পাশাপাশি মুজিবুর রহমান দিলু বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দিলুর জন্ম ১৯৫২ সালের ৬ নভেম্বর। এই অভিনেতা টিভি নাটকের আগে থেকেই মঞ্চে অভিনয় করছেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। ১৯৭৬ সাল থেকে টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় করছেন। তবে মাঝে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন দীর্ঘদিন। মুজিবুর রহমান দিলু তার স্ত্রী রানি রহমান, দুই ছেলে অয়ন রহমান, অতুল রহমান ও এক মেয়ে তানজিলা মুজিবকে নিয়ে ঢাকার উত্তরায় বসবাস করতেন।
মজিবুর রহমান দিলুর উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক- ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি।