আসছে বাঙালি জাতির গৌরবের মাস ডিসেম্বর। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই মানচিত্রে আমাদের প্রণম্য মুক্তিযোদ্ধা তারকাদের সংখ্যাও কম নয়। এই দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচাতে জীবন বাজি রেখে নেমে পড়েছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। ডিজিটাল এই যুগে স্বাধীনতার সেই ইতিহাস ছড়িয়ে গেছে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। তার পরও হয়তো অনেকের অজানা যে, সেই আপামর জনতার মধ্যে আছেন অভিনয় ও সঙ্গীত জগতের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকাও। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা তারকা নিয়ে আজ আমাদের বিশেষ আয়োজন।
চিত্রনায়ক ফারুক
আসল নাম আকবর হোসেন পাঠান দুলু। যিনি চলচ্চিত্র জগতে ফারুক নামে পরিচিত। স্কুল জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৬ সালে যোগ দেন ছয় দফা আন্দোলনে। সে সময়ে তার নামে প্রায় ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা নিয়ে আমি এতোদিন বলতে আগ্রহী ছিলাম না। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে। কেননা, এ প্রজন্ম স্বাধীনতার সত্য ইতিহাস জানে না। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে যুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরা উচিত। এই ঢাকার যেদিক দিয়ে আজ লাখো মানুষ চলাফেরা করছে, ১৯৭১-এ সেখানেই লাখো লাখো গুলিবর্ষণ হয়েছে। মানুষ রাত বারোটার পর রাস্তায় বের হতে পারতো না। প্রতি মিনিটে লাখেরও বেশি গুলিবর্ষণ করতো হানাদাররা। যেখানে যাকে পেয়েছে তাকেই গুলি করে মেরেছে। যুদ্ধের হাজারো খণ্ড খণ্ড স্মৃতি আছে। আসলে কেউ না দেখলে বুঝতে পারবে না। তাই যুদ্ধের ইতিহাসও এই স্বল্প জায়গায় বলা যায় না।
স্বাধীনতার বছরেই এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন ফারুক। ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ এবং ‘মিয়া ভাই’-সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭৫ সালে ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বঅভিনেতা হিসেবে ফারুক ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ লাভ করেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন নায়ক ফারুক। সম্প্রতি তিনি পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। এছাড়াও ব্যবসায়ী মহলেও তাঁর রয়েছে বেশ পরিচিতি। বর্তমানে গাজীপুরে অবস্থিত নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘ফারুক নিটিং ডাইং এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন তিনি।
নায়ক জসিম
প্রখ্যাত অভিনেতা আজিমের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন অ্যাকশন হিরো নায়ক জসিম। পুরো নাম আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন। ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তাঁর। খল চরিত্রের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করলেও পরবর্তীকালে নায়ক হিসেবেও তিনি সফলতা পেয়েছিলেন। জসিমের খলনায়ক জীবনের সমাপ্তি ঘটে ‘সবুজ সাথী’চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। ‘সবুজ সাথী’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন। এর পর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত নায়ক হিসেবেই অভিনয় চালিয়ে যান।
জসিম ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে একজন সৈনিক হিসেবে দুই নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে পরলোকগমন করেন তিনি। জসিমের মৃত্যুর পর এফডিসিতে তাঁর নামে একটি ফ্লোরের নামকরণ করা হয়।
সোহেল রানা
শিক্ষা জীবনে একজন ছাত্রনেতা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নায়ক সোহেল রানা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। তাঁর জন্ম ঢাকাতে হলেও পৈতৃক বাসস্থান বরিশাল জেলায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হন। প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে মাসুদ পারভেজ এবং অভিনেতা হিসেবে সোহেল রানা নাম ধারণ করেন।
১৯৭২ সালে চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনা করেন সোহেল রানা। অভিনেতা হিসেবে অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে। ওই বছর কাজী আনোয়ার হোসেনের পরিচালিত বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে নায়ক হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ লাভ করেছেন তিনি।
মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের তুখোড় নেতা ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৯ সালে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ গ্রহণ করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্বাচন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ পান এ অভিনেতা।
জাফর ইকবাল
আশির দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা জাফর ইকবাল। তিনি একাধারে সংগীত শিল্পী, অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সরাসরি অংশগ্রহন করেন তিনি। যুদ্ধের আগে ১৯৬৬ সালে প্রথম একটি ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন জাফর ইকবাল। তাঁর প্রথম সিনেমায় গাওয়া গান ছিল ‘পিচ ঢালা পথ’। তাঁর কণ্ঠে ‘হয় যদি বদনাম হোক আরো’ গানটি একসময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
বাংলা চলচ্চিত্রের স্টাইলিশ নায়কদের অন্যতম জাফর ইকবাল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন তিনি। তার অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘আপন পর’। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন কবরী। জাফর ইকবালের সাথে নায়িকা ববিতার জুটি ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়। এক সঙ্গে ৩০টির মত ছবিতে অভিনয় করেছেন এ জুটি। সবমিলিয়ে ক্যারিযারে প্রায় ১৫০টি ছবি অভিনয় করেন জাফর ইকবাল। ক্যানসার ও কিডনি বিকল হয়ে অসুস্থ হয়ে ১৯৯২ সালে ২৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন এ স্টাইলিশ নায়ক।
আসাদুজ্জামান নূর
বাংলা নাট্য জগতের একজন তুখোড় অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। নব্বইয়ের দশকে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বাকের ভাই চরিত্রে অভিনয় করে দেশব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এর পর হুমায়ূন আহমেদের আরেক নাটক ‘আজ রবিবার’ দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌছে যান তিনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমনি’ ছবিতেও নূরের অভিনয় নজর কাড়ে দর্শকদের।
১৯৬৩ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেন আসাদুজ্জামান নূর। ১৯৬৫ সালে তিনি নীলফামারী কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। পরে ১৯৯৮ সালের মাঝামাঝি পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি নীলফামারী-২ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৩ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর ১২ই জানুয়ারি নবগঠিত মন্ত্রীসভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
সৈয়দ হাসান ইমাম
বাংলাদেশের একজন অভিনেতা, আবৃত্তিকার এবং স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। ১৯৬০ সাল থেকে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে শুরু করেন টেলিভিশনে অভিনয়। ১৯৬৬ থেকে \’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব সময়ে তিনি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের মঞ্চে নাটক-নাটিকা ও গণসঙ্গীত পরিচালনা করেন। ১৯৬৯-এর গণ আন্দোলনের সময় সংস্কৃতি সংসদ আয়োজিত প্রায় ১০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বাংলা একাডেমির বটমূলে মঞ্চায়িত রক্তকরবী নাটকটি বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল।
১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাসান ইমামকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয় শিল্পীদের প্রতিবাদী সংগঠন বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পাকিস্তান বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বর্জন করেন। গণআন্দোলনের চাপে পাকিস্তানী সরকার ৮ মার্চ থেকে বেতার টেলিভিশনের দায়িত্ব বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ২৫ মার্চের পর হাসান ইমাম মুজিব নগরের চলে যান এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে ১৯৭১-এ স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের নাট্য বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
সম্রাট আজম খান
বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সংগীতের সম্রাট বলা হয় তাকে। পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। কিন্তু সংগীত জগতে তিনি আজম খান নামে পরিচিত। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে দেশের জন্য অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। সে সময় ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নেন তিনি। তাঁর বাবা আফতাব উদ্দিন খান সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। বাবার অণুপ্রেরণায়ই যুদ্ধে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন আজম খান। মুক্তিযুদ্ধের পর পড়ালেখায় আর অগ্রসর হতে পারেননি তিনি। ঢুকে পড়েন সংগীত জগতে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর প্রথম কনসার্ট প্রদর্শিত হয়। আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘রেল লাইনের ঐ বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা, ওরে মালেক’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’ ইত্যাদি। পপসম্রাট আজম খান দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে ভুগে ২০১১ সালে ৫ই জুন ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সংগীতশিল্পী আব্দুল জব্বার
বাংলাদেশের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী আব্দুল জব্বার। তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও গানের মাধ্যমে সেসময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। এ জন্য তাকে কণ্ঠযোদ্ধা বলা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল ও প্রেরণা যোগাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ ও ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’সহ অনেক গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। তাঁর গানে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া যুদ্ধের সময়কালে তিনি প্রখ্যাত ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে কাজ করেন। তৎকালীন সময়ে কলকাতাতে অবস্থিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধাদের ক্যাম্প ঘুরে ঘুরে হারমোনি বাজিয়ে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেছেন, যা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল। এছাড়াও তিনি সেসময় বিভিন্ন জায়গায় গণসংগীত গেয়ে প্রাপ্ত ১২ লাভ রুপি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের অসংখ্য সুপারহিট গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন আব্দুল জব্বার। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক (১৯৮০) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (১৯৯৬) ভূষিত হন। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে কিডনি, হার্ট, প্রস্টেটসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ৩০ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তী এ কণ্ঠশিল্পী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ১৩ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি