অ্যানজেলিনা জোলিসহ তিন অভিনেত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ

হলিউড মোগল বলে পরিচিত চলচ্চিত্র প্রযোজক হারভে ওয়েইনস্টেইনের (৬৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন তিন অভিনেত্রী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন এ সময়ের জনপ্রিয়, অভিনেত্রী অ্যানজেলিনা জোলি, গাইনেথ পালট্রো সহ কমপক্ষে আরো আটজন নারী।

এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হারভে ওয়েইনস্টেইন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়, এতগুলো শীর্ষ ও প্রথম শ্রেণির অভিনেত্রীর অভিযোগের ফলে তোলপাড় চলছে হলিউডে। আলোচনা চলছে গত ২০ বছরেরও বেশি সময় তার এই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ‘দ্য ইংলিশ প্যাসেন’ ‘পালপ ফিকশন’-এর মতো নামকরা আরো অনেক ছবির প্রযোজক হারভে ওয়েইনস্টেইন।

যে তিনজন অভিনেত্রী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন তাদের মধ্যে দু’জন পরিচয় প্রকাশ করেছেন। একজন নাম প্রকাশ করতে চান নি। তারা বলেছেন, তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন হারভে ওয়েইনস্টেইন। একজনের সঙ্গে জোরপূর্বক এমন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র প্রযোজক সংস্থা মিরামার ফিল্মসের সহ প্রতিষ্ঠাতা হারভে ওয়েইনস্টেইন। তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও আটজন অভিনেত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কার পত্রিকা বলেছে, এটাই সম্ভবত এ যাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিযোগ।

১০ মাস এ নিয়ে অনুসন্ধান করেছে ওই পত্রিকাটি। এ সময়ে তারা ওই তিনজন ধর্ষিত নারীর সঙ্গে কথা বলেছে। তবে লন্ডন ইন্ডিপেন্ডেন্ট তাদের নাম প্রকাশ করে নি। নিউ ইয়র্কার বলেছে, ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গুজব চলছিল যে, যৌন হয়রানি ও অবমাননা চালিয়ে যাচ্ছিলেন হারভে ওয়েইনস্টেইন। হলিউডে এটা হলো ওপেন সিক্রেট। কিন্তু এ বিষয়ে অনুসন্ধান না করে রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে নি তারা। এ বিষয়ে খুব কম মানুষই কথা বলতে রাজি হয়েছেন।

অনেকে তো তাদের নামই উল্লেখ না করার আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিকদের কাছে। ওদিকে এসব কাহিনী যাতে প্রকাশ না হয় সে জন্য গোপন চুক্তি করেছেন হারভে ওয়েইনস্টেইন। অর্থ ব্যবহার করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এসব করে ধর্ষিতা বা যৌন নির্যাতনের শিকার নারীরা মুখ বন্ধ করে ছিলেন।

১৯৯০ এর দশক থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এমন ১৩ জন নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনের সাংবাদিক। তারা বলেছেন, হারভে ওয়েইনস্টেইন তাদেরকে যৌন হয়রানি করেছেন। অবমাননা করেছেন। এতে বলা হয় হারভে ওয়েইনস্টেইনের কোম্পানির সাবেক ও বর্তমান ১৬ জন নির্বাহী ও সহকারী বলেছেন, তারা এমন অপ্রত্যাশিত যৌন সুবিধা নিতে দেখেছেন। তারা দেখেছেন তার ছবির সঙ্গে যারা যুক্ত, কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদেরকে স্পর্শ করেছেন। তাদেরকে নিয়ে তিনি মিটিং করতেন। এতে উপস্থিত থাকতেন যুবতী অভিনেত্রী ও মডেলরা। এর আসল উদ্দেশ্য ছিল যৌন সুবিধা নেয়া। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে গত সপ্তাহে তিনি বলেছেন, অতীতে আমি সহকর্মীদের সঙ্গে হয়তো কারাপ আচরণ করেছি। তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই। আমি ভাল করার চেষ্টা করছি। তাই আমাকে অনেকটা পথ যেতে হবে। তিনি দাবি করেন বৃটিশ বংশোদ্ভূত তার স্ত্রী জর্জিনা চ্যাপম্যান তাকে এক্ষেত্রে শতভাগ সমর্থন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ১১ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ

Scroll to Top