মহামারী করোনাকালীন দীর্ঘ বন্ধের পর বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা আমির খানও ব্যস্ত। আমির ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবির শুটিং নিয়ে এ মুহূর্তে তুরস্কে রয়েছেন। সেখানে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ানের আমন্ত্রণ পান তিনি। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এমিনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আমির। সেই সাক্ষাতে ভারত ও তুরস্কের চলচ্চিত্রসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়।
এরপর এমিনি তার টুইটারে আমির খানের ভূয়সী প্রশংসা করে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না, আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনারই বেশি শিকার হন আমির। কারণ চীনের সঙ্গে ভারতের চলমান ‘যুদ্ধ-যুদ্ধ’ সম্পর্কের উত্তেজিত সময়ে তুরস্ক চীনকে সমর্থন দিয়েছে। সেজন্য তুরস্কের সঙ্গেও ভারতের রাজনৈতিক দিনকাল ভালো যাচ্ছে না।
আর এসময়ই কিনা আমির খান তুরস্কের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর অতিথি হয়ে গেলেন সৌজন্য সাক্ষাত করতে। বিষয়টি একদমই মেনে নিতে পারছেন না অধিকাংশ ভারতীয়। অনেকেই এ অভিনেতাকে দেশদ্রোহী বলেও আখ্যা দিয়েছেন। তার ভিড়ে ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুরা মনে করছেন, ভারতের শত্রুর সঙ্গে আমির খান গোপনে হাত মিলিয়েছেন। এ অভিনেতা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন নিজ দেশের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় সম্প্রতি আল জাজিরা তাদের এক সংবাদে প্রকাশ করেছে, ভারতের স্বেচ্চাসেবীমূলক সংগঠন আরএসএস তাদের ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক সংখ্যায় আমির খানকে নিয়ে ‘ড্রাগন কা প্যায়ারা খান’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। সেখানে আমিরকে ‘চীনের প্রিয় খান’ হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি চীনের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আমির খানের চুক্তিবদ্ধ থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে।
ম্যাগাজিনটির সম্পাদক হিতেশ শঙ্কর বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সহায়তায় আমির খানের সিনেমা চীনের বাজারে ভালো ব্যবসা করছে।
তবে অনেকে আবার আমির খানের যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেছেন। তারা মনে করছেন একজন সফল মানুষ হিসেবে তিনি বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতীয় সিনেমাকে উজ্জ্বল করেছে।