সজীব (সজল) ও কেয়া (ফারিয়া) দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে। তবে তারা দুজন দুই প্রকৃতির। সজীব খুবই কর্মব্যস্ত একজন মানুষ। সারাক্ষণ শুধু কাজ নিয়েই সে বেস্ত থাকে। তার মতে, জীবনে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করা ঠিক না। তাই সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অবিরাম ছুটে চলছে। তিনি মনে করেন, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে আরও দুই বছর সময় লাগবে।
সজীব-কেয়ার সম্পর্ক পাঁচ বছরের। কেয়ার মানসিক অবস্থা একেবারে ভিন্ন। তার মনের মধ্যে গৃহিণী হওয়ার প্রবল ইচ্ছা। সে সবসময় সজীবের পাশে থাকতে চায়। নিজের সংসার গোছাতে চায়। সজীবকে বারবার বোঝাতে চায়, তাদের বিয়ে করা উচিত। কিন্তু সজীব এ ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। কেয়া যখনই বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে সজীব তা এড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে কেয়ার বাবা মেয়ের বিয়ের জন্য পত্রিকায় পাত্র চাই’র বিজ্ঞাপন দেয়। বিষয়টি জানতে পারে সজীব। কেয়ার বাবা সজীবকে পাত্র হিসেবে অনুপযুক্ত আর সজীবের জুনিয়র কর্মচারী নাহিদকে উপযুক্ত মনে করে। সজীব তখন কেয়াকে পাওয়ার জন্য পাগলের মতো হয়ে উঠে।
একটা সময় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সজীবের মা কেয়ার বাবার কাছে যায়। তখন জানতে পারে, কেয়ার বাবা পত্রিকায় পাত্র চাই’র কোন বিজ্ঞাপনই দেয়নি। সজীব যা শুনেছে, তা পুরোটাই গুজব। এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘বিজ্ঞাপনে ছিল পাত্র চাই’।
মো. সাইফুর রহমান কাজলের রচনায় এটি নির্মাণ করেছেন ইমরান হাওলাদার। আর নাটকের প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল ও শবনম ফারিয়া। আরও আছেন- সায়কা আহমেদ, ফখরুল বাশার মাসুমসহ অনেকে।
নির্মাতা ইমরান হাওলাদার বলেন, ‘নাটকে শিক্ষণীয় দুটি বিষয় আছে। এক, কাছে থাকলে প্রিয় মানুষটিকে হারানোর ভয় থাকে না। তবুও তাকে আগলে না রাখলে, যেকোন সময় হারিয়ে যেতে পারে। আর দুই হচ্ছে, আমরা বাস্তবের তুলনায় গুজবের পেছনে বেশি ছুটি।’ তিনি জানান, ‘বিজ্ঞাপনে ছিল পাত্র চাই’ নাটকটি প্রচার হবে আগামীকাল শুক্রবার রাত ৮টায় আরটিভিতে।