দুজনের নামের শেষে ক্রুজ থাকলেও ঘর বাঁধা হয়নি। প্রেম পর্যন্তই সার। টম ক্রুজ ও পেনেলোপে ক্রুজের সেই প্রেম ছিল ঝলমলে। তবু টেকেনি। বন্ধু হয়েই আছেন দুজন। পেনেলোপের বন্ধুতালিকায় আছে ‘পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ান’ তারকা জনি ডেপও। আর বন্ধু থেকে জীবনসঙ্গী হওয়া হ্যাভিয়ের বারদেমও বড় পর্দার লোক।
পেনেলোপের জীবনটা মজার। প্রতিবেশীভাগ্য ঈর্ষনীয়। তাঁর বাড়ির চারদিকে ঝলমলে তারকার মেলা। তাঁর বাড়িটাও একেবারে তারকায় ঘেরা। প্রতিবেশীদের আমন্ত্রণ করলে দেখা যায়, তারকায় ভরে গেছে ঘর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলে পেনেলোপের বাড়িটা ঠিক এমনই এক জায়গায়।
পেনেলোপের বাড়ির সামনে আরেক তারকার বাড়ি। সেখানে থাকেন ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেলে। আর অ্যাডেলের পাশে থাকেন টেলিভিশন তারকা নিকোল রিচি। তাঁর ঠিক বিপরীত দিকের বাড়িতে দেখা যাবে ‘অ্যাভাটার’ অভিনেত্রী জো সালদানাকে। জোর দরজা দিয়ে উঁকি দিলে দেখা যাবে জেনিফার লরেন্সের বাড়ি। সেখান থেকে কয়েক কদম হেঁটে এগোলেই দেখা যাবে অ্যাস্টন কুচারের বাড়ির প্রধান ফটক। এই তারকাদের কারও কারও ঘরেও আছেন আরেক তারকা।
ধরা যাক, অ্যাস্টন কুচারের বাড়ির বেল টিপলে দেখা দেবেন মিলা কুনিস। ভড়কে যাওয়ার কিছু নেই, দুজন একসঙ্গে থাকেন। ক্যামেরন ডিয়াজেরও একই রকম ঘটনা। ডিয়াজের জীবনসঙ্গী বেনজি ম্যাডেন। নিকোল রিচির জীবনসঙ্গী রকশিল্পী জোয়েল ম্যাডেনের ভাই এই বেনজি ম্যাডেন। পেনেলোপের বাড়ির কাছে দেখা পাওয়া যেতে পারে কেটি পেরির। কেটির সঙ্গে থাকেন অরল্যান্ডো ব্লুম। তাঁদের কন্যা পৃথিবীতে আসছে শিগগিরই। শুধু কি তাই, আশপাশ ঘুরলে নিকোল কিডম্যান ও কিথ আরবানের দেখাও পাওয়া যেতে পারে। এই কমিউনিটিতে তাঁরাও আছেন।
এই কারণে পেনেলোপে ক্রুজকে যে কেউ ঈর্ষা করতে পারেন। এটা কি থাকার জায়গা, না হলিউড ও সংগীতজগতের তারকাদের হাউজিং সোসাইটি! এমন একটি বাড়ির স্বপ্নই নাকি ছিল পেনেলোপের। ২০১০ সালে হ্যাভিয়ের বারদেমের সঙ্গে বিয়ের বছরেই বাড়িটি কিনে নেন সারা জিলবার্টের কাছ থেকে। ২ হাজার ৫৩৮ স্কয়ার ফিটের এই বাড়িতে আছে ৪টি বেডরুম ও ৩টি বাথরুম।
সূত্র: নিকি সুইফট