ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলি খানের পঞ্চাশ বছরের জন্মদিন বলে কথা! স্ত্রী কারিনা কাল রাত থেকেই ‘হাবি’র জন্মদিন পালনে মেতেছেন। কখনও আদরে জড়িয়ে ধরছেন সাইফকে, আবার কখনও বা ঠোঁটে এঁকে দিচ্ছেন সোহাগী চুমু। কাপ্তানের ভেতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছেন তার বেবিবাম্প।
সাইফের এই পঞ্চাশ বছরে বসন্ত এসেছে অনেকবার। বয়সে ১০ বছরের বড় অমৃতার সঙ্গে প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদের পর ১০ বছরের ছোট কারিনার সঙ্গে প্রেম-বিয়ের কথা তো সকলেরই জানা। কিন্তু এই দুইয়ের মাঝেও যে সাইফের জীবনে প্রবেশ ঘটেছিল অন্য এক নারীর, তা কি আপনি জানতেন? তবে সেই সম্পর্ক শেষ হয়েছিল তিক্তভাবে। প্রকাশ্যে সাইফের ইমেজের ওপর পড়েছিল কালো দাগ। কী তার নাম?
সেই সুন্দরীর নাম রোজা ক্যাটালানো। ইতালির এই মেয়ে বড় হয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডে। অমৃতার সঙ্গে ২০০৪ সালে বিচ্ছেদের পর রোজার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাইফ। কী প্রেম তখন তাদের! পার্টিতে, সেটে সব সময়েই একসঙ্গে দেখা যেত সাইফ-রোজাকে।
কেনিয়ায় দেখা হওয়ার পর থেকে রোজার জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন ছোট নবাব। এমনকি প্রকাশ্যে অমৃতাকে উদ্দেশ করে নাম না নিয়ে সাইফ মিডিয়াকে বলেছিলেন, “আমার কোনও টাকা নেই। আমাকে প্রতি মাসে বিচ্ছেদ ভাতা দিতে হয়। রোজা এবং আমি দুই কামরার ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকি এখন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, তাতে শান্তি রয়েছে। আমি কতটা অকর্মণ্য, আমার মা-বোন কতটা খারাপ, তা প্রতিনিয়ত শুনতে আমার মোটেই ভালো লাগত না।”
এমন রোম্যান্সে ভাঁটা পড়ল কী করে? রোজাই সম্পর্ক ভেঙেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল সাইফ নাকি মিথ্যা বলেছেন তাকে। তার যে আগে একটি বিয়ে এবং দুই সন্তান রয়েছে, সে কথা নাকি বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন সাইফ। ভারতে আসার পরই নাকি রোজা জানতে পারেন সে কথা। সময়টা ২০০৬। ভেঙে যায় ওদের সম্পর্ক।
তবে প্রেম ছাড়েনি সাইফকে। এর ঠিক দু’বছর পরেই ‘তাসান’ সিনেমার সেটে তিনি প্রেমে পড়েন কাপুর-কন্যা কারিনার। সেই প্রেম এতটাই তীব্র ছিল যে, রাতারাতি হাতে ‘কারিনা’ ট্যাটু পর্যন্ত করিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কারিনাও সাড়া দেন। অবশেষে চার বছর প্রেমের পর ২০১২ সালে বিয়ে করেন তারা। ২০১৬ সালে জন্ম হয় তৈমুরের।
অমৃতার সঙ্গে সাইফের যোগাযোগ না থাকলেও তার প্রথম পক্ষের সন্তান সারা-ইব্রাহিমের সঙ্গে কিন্তু সাইফ-কারিনার সম্পর্ক খুবই ভালো। একসঙ্গে ঘুরতেও যান তারা। সময় কাটান। সে যাই হোক, সাইফের জীবনে প্রেম এসেছে… প্রেম ভেঙেছে… এত ভাঙা গড়া পেরিয়ে আজ তিনি হ্যাপিলি ম্যারেড।
: আনন্দবাজার
