দিন দিন অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে অশ্লীলতা বেড়েই চলেছে। সেন্সর না থাকায় ওয়েব সিরিজে উদ্ভট গল্প, অশালীন দৃশ্য, নোংরা সংলাপ ব্যবহার যেন আজ আর নতুন কোনো বিষয় নয়। আর এই স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন আমাদের নাটকের জনপ্রিয় কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী। গল্পের প্রয়োজনে গালি ব্যবহার করা হলেও টিভি নাটকের সেই অংশের শব্দটুকু সাধারণত মুছে দেওয়া হয়। মাদকদ্রব্য ব্যবহার ও সেবন করার দৃশ্যে ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ লেখা থাকে। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ওয়েব সিরিজে এ ধরনের সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন আলোচনায় তিনটি ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গ। স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও ইউটিউবে মুক্তি পেয়ে রীতিমতো বিতর্ক উসকে দিয়েছে এই ওয়েব সিরিজগুলো। ওয়েব সিরিজ তিনটি হলো- ওয়াহিদ তারিকের ‘বুমেরাং’, সুমন আনোয়ারের ‘সদরঘাটের টাইগার’ ও শিহাব শাহীনের ‘আগস্ট ১৪’। এই ওয়েব সিরিজগুলোতে অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, মৌটুসী বিশ্বাস, শ্যামল মওলা, হিল্লোল, ইমি, অর্ষা, তাসনুভা তিশা, ফারহানা হামিদ, আবু হুরায়রা তানভীরসহ অনেক জনপ্রিয় তারকা।
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউবে প্রদর্শিত অশ্লীল নাটক সম্পর্কে শতাধিক মিডিয়াকর্মী এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিবৃতিতে তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউবে প্রদর্শিত অশ্লীল নাটক সম্পর্কে বিশিষ্ট জনদের অভিমত সম্পর্কিত সংবাদটি আমাদের মনে আশার সঞ্চার করেছে। বিশিষ্টজনদের এই অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানিয়ে বলতে চাই যে, শুরু থেকেই আমরা মিডিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীরা অশ্লীলতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অশ্লীল কনটেন্ট নির্মাতাদের পক্ষাবলম্বনকারীরা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদকারীদের হেয় প্রতিপন্ন করা’সহ সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করেছে! আমরা এ সকল কর্মকাণ্ডেরও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি দেরিতে হলেও বিশিষ্টজনদের এগিয়ে এসে প্রতিবাদের সঙ্গে একাত্ম হওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা জানাতে চাই, আমরা ওয়েব প্ল্যাটফর্মের পক্ষে কিন্তু অশ্লীলতার বিপক্ষে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- মালেক আফসারী, কায়েস চৌধুরী, অরুণা বিশ্বাস, আহসানুল হক মিনু, শহীদ রায়হান, মুজিবুর রহমান মুজিব, সিদ্দিকুর রহমান, জ্যোতিকা জ্যোতি, মাসুদ সেজান, শাহরিয়ার নাজিম জয়, জিতু আহসান, শহিদ আলমগীর, রেজাউল হক রেজা, এহসানুর রহমান, সাইফ মাহমুদ, রেজাউর রহমান রিজভী, কাজী ইলিয়াস কল্লোল, এম শাখাওয়াত হোসেন, মাসুদ মহিউদ্দিন, জুয়েল মাহমুদ, ফিরোজ খান, সুমনা সোমা, সালেহ আহমেদ মনা, নাবিলা আলম পলিন, নাজমুল হুদা নাজিম, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আখতার ফেরদৌস রানা, কায়সার আহমেদ, নজরুল কোরেশী।
এছাড়াও রয়েছেন ফেরারী অমিত, ফিরোজ শাহী, কাজী সোহাগ, একেএম শামসুদ্দোহা পাটোয়ারী, মাসুদ জামান, মিজানুর রহমান, রফিকুল্লাহ সেলিম, দীপু ইমাম, আশফাকুর রহমান আশিক, খন্দকার শাহ আলম, আব্দুল আজিজ, ইদ্রিস হায়দার, জহির আহমেদ, স্বপন সিদ্দিকী, এস এম কামরুল বাহার, কামাল হোসেন বাবর, সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, সঞ্জিত সরকার লিটু, জিনাত হাকিম, মঞ্জুরুল আলম, পীযুষ দ্রাবিড়, অনিক ইসলাম, আকাশ রঞ্জন, শাহীন মাহমুদ, ইসাক খান, মাসুম আজিজ, সমু চৌধুরী, আব্দুল্লাহ রানা, আনসারুল আলম লিংকন, কিরিটি রঞ্জন বিশ্বাস, আনিসুর রহমান দিপু, গিয়াস উদ্দিন পিন্টু…
আরও আছেন হাসান জাহাঙ্গীর, আরমান পারভেজ মুরাদ, শম্পা হাসনাইন, জয় সরকার, হেলাল মাহমুদ, কাজল মজুমদার, শাহাদাৎ হোসেন নিপু, আসলাম শিহির, বোরহান বাবু, রাখি মমতাজ, তুষার মাহমুদ, শম্পা রেজা, মনির খান শিমুল, কোহিনুর আলম, প্রমা আজিজ, ঈশিকা আজিজ, উত্তম অধিকারী, আহমেদ রুবেল, রুমানা ইসলাম স্বর্ণা, শিল্পী সরকার অপু, সৈয়দ শুভ্র, আবু বক্কর দাউদ তুহিন, আবু সুফিয়ান, অ্যালবার্ট খান, দেওয়ান হাবিবুর রহমান, তুহিন বড়ুয়া, সাদেক সিদ্দিকী, বাবুল আহমেদ, প্রসুন বিশ্বাস মিঠু, এম আর মিজান প্রমুখ।