করোনা আক্রান্ত রা’ওয়ান খ্যাত পরিচালক করিম মোরানির ছোটমেয়ে শাজা। আপতত জুহুর ফ্ল্যাটে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে গোটা পরিবার, খবর স্পটবয়ই সূত্রে। মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শাজাকে।
স্পটবয়ইকে বিএমসির কর্পোরেটর রেনু হংসরাজ জানিয়েছেন, ‘গোটা মোরানি পরিবার এখন ঘরেবন্দি রয়েছে। ওই বিল্ডিংয়ে মোট ন জন থাকেন। আগামীকাল সকলের করোনা পরীক্ষা করা হবে। আমাদের সকলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, তাদের সঙ্গে সবরকম সহযোগীতা করতে হবে’।
জানা গিয়েছে পরিচিত বহু মানুষকেই মেসেজ পাঠিয়ে মেয়ের অবস্থার কথা জানিয়ে সচেতন করেছেন করিম মোরানি। তিনি সেই বার্তায় লিখেছেন, আমার মেয়ে শাজা সম্প্রতি কোনও বিদেশির সংস্পর্শে আসেনি এবং ওর শরীরে কোনও করোনার লক্ষণও ছিল না। কিন্তু এটা আমার কর্তব্য আপনাদের বিষয়টি জানানো একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে। আমরা ওকে ইতিমধ্যেই নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করেছি এবং আগামীকাল আমাদের সকলের দেহে Covid-19-এর উপস্থিতি যাচাই করতে পরীক্ষা করা হবে।
রাওয়ান, চেন্নাই এক্সপ্রেসের মতো ছবির প্রযোজক করিম মোরানি। পরে এবিপি নিউজকে ছোটমেয়ে শাজার করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন প্রযোজক।
ভারতের প্রথম হাইপ্রোফাইল করোনা সংক্রমণের ঘটনা হিসাবে সামনে এসেছিল কনিকা কাপুরের Covid-19-এ আক্রান্ত হওয়ার খবর। শেষমেষ শনিবার কনিকার ছ নম্বর করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। সোমবার লখনউয়ের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কনিকাকে। যদিও আগামী ১৪ দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে হবে গায়িকাকে।
করোনা সংক্রমনে জর্জরিত লন্ডন থেকে ফিরে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেননি কনিকা। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কথা উপেক্ষা করে এক শহর থেকে অন্য শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বেবি ডল গায়িকার দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা। পাশাপাশি এই কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের জন্য ইতিমধ্যেই লখনউয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯ এবং ২৭০ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কনিকার বিরুদ্ধে।