ভারত সরকার পুরো দেশ লকডাউন ঘোষণা করার পর বিবৃতি আসছে বি-টাউন থেকেও। প্রথমে চলচ্চিত্র পরিষদ, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি, প্রযোজনা পরিষদ, পরিচালক পরিষদসহ সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ১৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুটিং, এডিটিংসহ সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে লকডাউনের সময় বাড়ানোর কারণে নির্দেশনা দেওয়া হয় এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
আগামী ২ এপ্রিল হাতি মেরে সাথী, ১০ এপ্রিল রণবীর সিংয়ের ’৮৩ এবং ২০ মার্চ সন্দীপ অর পিংকি ফারার ছবিগুলো মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া মে মাসেও বড় বাজেটের কোনো সিনেমা মুক্তি পায় কি-না সেটাও দেখার বিষয়। বলিউডের একাধিক সূত্র বলছে, দেশ তথা বৈশ্বিক অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বড় বাজেটের কোনো সিনেমা মুক্তি পাবে না।
বলিউডের বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শের মতে, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশাল এক প্রভাব পড়বে। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিও এর বাইরে নয়। সিনেমার শুটিং কমেছে, মুক্তির ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়েছে। লকডাউন শেষ হওয়ার পর আবার মুক্তি পাবে ঠিকই, কিন্তু মানুষ প্রেক্ষাগৃহে ঢুকবে কম। যেমন বাঘী থ্রি ও আংরেজি মিডিয়াম ছবি দুটি বেশ লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে
শুধু প্রযোজক কিংবা সিনেমার কলাকুশলীরা নন, প্রেক্ষাগৃহ মালিকরাও বড় ক্ষতির মুখে। সব বড় শহরের প্রেক্ষাগৃহগুলো এখন বন্ধ। তা সত্ত্বেও কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুত্ বিলসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বহন করতে হচ্ছে। শুধু দিল্লির হল মালিকরাই বন্ধ থাকা এই সময়ে কোনো আয় না করেও ২০ থেকে ৩০ লাখ রুপি লোকসান গুনবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
বলিউডের বড় অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকরা বাসায় বসে আছেন। তারা কাজ না করলেও সমস্যা নেই। এছাড়া যারা বেতনভুক্ত তারা না হয় কিছু টাকা পেলেন, কিন্তু যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তারা? বলিউডের লাইটম্যান, স্পট বয়, ইলেক্ট্রিশিয়ান, স্ট্যান্টম্যান, ছুঁতারসহ অনেক পদের কলাকুশলীরা দৈনিক কাজের ভিত্তিতে বেতন পান। তাই বলিউড লকডাউন হওয়ার পর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মূলত তারাই।