মুখ খুললেন স্ত্রী নন্দিনী, তাপস পালকে মেরে ফেলা হয়েছে!

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ওপার বাংলার তারকা অভিনেতা ও সাবেক তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। অভিনেতার স্ত্রী নন্দিনী মুম্বাইয়ের বান্দ্রার এক বেসরকারি হাসপাতালে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভর্তি করেছিলেন। বয়সজনিত কারণে অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। মৃত্যুর পর তাপস পালের স্ত্রী বা মেয়ে কিছু বলেননি।

স্নায়ু এবং রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এবার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন তাপসের স্ত্রী নন্দিনী পাল। তাপসের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর তার স্ত্রী নন্দিনী অভিযোগ করলেন, জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে মেরে ফেলা হয়েছে! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তাই ন্যায়বিচার দাবিতে বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন।

নন্দিনী জানান, তাপসের অসুস্থতা সম্পর্কে সব কথা বিস্তারিত ভাবে শুনতে চায়নি ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ভর্তি নিলেও অসুস্থ থাকা অবস্থাতেও খুলে নেওয়া হয় তাপস পালের ভেন্টিলেশন। ভেন্টিলেশন বন্ধ করে দিলেই স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। তখনও নীরব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাপস পালের আগের অসুস্থতার কথা জানতে না চেয়েই নাকি চিকিৎসকরা প্রশ্ন করেন কেন আনা হয়েছে তাকে হাসপাতালে। টাকা জমা রাখার জন্য জোর করা হয় এবং টাকা জমা না রাখলে চিকিৎসা শুরু না করার কথাও জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নার্সরাও দায়িত্ববান ছিলেন না বলে অভিযোগ নন্দিনীর। তার অভিযোগ, হাসপাতালে তার স্বামীর ক্যাথিটারও ঠিক মতো বদল করা হত না। এই সব গাফিলতির কারণে নন্দিনী ও তার মেয়ে সিদ্ধান্ত নেন তাপসকে নিয়ে কলকাতায় আসবেন। কিন্তু তখনই সব শেষ হয়ে যায়। হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগ তুলে নন্দিনী আইনি ব্যবস্থায় যাবেন বলে জানিয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুতে অভিযুক্তদের তিনি ছেড়ে দেবেন না বলেই জানিয়েছেন।

Scroll to Top