ভারতে ২০০৯ সালে থ্রি ইডিয়েটস নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল। চলচ্চিত্রটিতে দেখা যায় একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ছাত্র নানা সময় নানা কাণ্ড ঘটিয়ে বসে। ওই সিনেমার শেষ অংশে প্রকৌশল বিদ্যায় পড়া ওই ৩ ছাত্র ভিডিওকলের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ‘ভ্যাকুয়াম টিউবের’ সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনের মেয়ের সন্তান প্রসব করান।
এবার বাস্তবে ঠিক একই কায়দায় ৩ জন নার্স ফোনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এক নারীর সন্তান ডেলিভারির চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই নার্সরা জানতো না যেটি চলচ্চিত্রে যেটা সম্ভব, সেটা বাস্তবে অনেক সময় সম্ভব নয়। তাই চলচ্চিত্রটির একটি সংলাপ ‘অল ইজ ওয়েল’ আর বাস্তবে পরিনত হলো না।
ওই চলচ্চিত্রের নায়ক আমির খান ও তার বন্ধুরা মিলে সফলভাবেই বাচ্চা প্রসব করিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ৩ নার্স সফলভাবে বাচ্চা প্রসব করাতে পারলেন না। ফলে মারা যায় শিশুটি। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ভারতের উড়িষ্যার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি করার পর ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত যে ডাক্তারের থাকার কথা ছিল তিনি না থাকায় শুরু হয় সমস্যা। প্রসূতি ওই নারীর শারীরিক অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গেলে ফোনেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওই তিন নার্স বাচ্চার অস্ত্রোপচার করে ডেলিভারি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। ওই তিন নার্স সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার করতে না পারায় নবজাতকটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া ভুলভাবে অস্ত্রোপচারের ফলে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ওই নারীর স্বামী জানান, ডাঃ রেশমীকান্ত পাত্রের অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বাইরে আছে বলে জানায়। এ সময় তিনি জানান, সে তার স্ত্রীর বিষয়ে সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। এরপরই এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার শিকার ওই নারীর পরিবার হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪২ ঘণ্টা, ০৪ অক্টোবর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ