‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের’ ভুল ভাল বাংলিশ/ইংলিশ শুনে বিরক্ত হয়েছিলেন শবনম ফারিয়া

বাংলাদেশের হাই স্পিড লেডি বাইকার জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল যার অপর নাম ‘মাফিয়া গার্ল’। তার স্বপ্ন তাকে থেমে থাকতে দেয়নি এদেশের হাই স্পিড লেডি বাইকার হয়ে শান্ত হননি নিজের পথ চলাকে আরও মসৃন করতে নাম লিখিয়ে ছিলেন লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭ তে। প্রায় ২৫ হাজার প্রতিযোগী এই শো তে অংশগ্রহন করে। বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে শুক্রবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে পর্দা ওঠে লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ, ২০১৭-এর গ্র্যান্ড ফিনালের। মাফিয়া গার্ল থেকে লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭-এর বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে। নিজ সৌন্দর্য ও মেধা দিয়ে জয় করে নেন বিজয়ের মুকুট।

তবে এভ্রিলের বিজয়ের পিছনে নাকি আয়োজকদের হাত ছিল এমনটা বলেছেন বিচারকরা। বিচারকদের সিলেকশনে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের নাম ছিলনা বলেও দাবি করেছেন বিচারকরা। এরপর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠে এভ্রিলের বিজয় নিয়ে। এই বিজয়ের মুকুট বর্তমানে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে জান্নাতুল নাঈমের ব্যাক্তিক জীবন হতে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে। এমনকি কথা উঠেছে বাদ হতে পারে এভ্রিলের বিজয়ের মুকুট।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হতে শুরু করে প্রতিটা জায়গায় বর্তমানের আলোচিত খবর জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল বিয়ে করেছিলেন এই নিয়েও চলছে নানা বিতর্ক। সম্প্রতি তাঁর বিয়ের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এই নিয়ে চলছে নানা হাস্যকর ট্রোল। আর তাকে নিয়ে এই বিতর্ক সৃষ্টির মধ্যে এবার জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের কাছে ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার অন্যতম অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তিনি তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে এভ্রিলকে উদ্দেশ্য করে ‘আই এ্যাম সরি গার্ল’ লিখে আবারও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এর আগেও এভ্রিল বিতর্কে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ফারিয়া।

শবনম ফারিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলঃ

“পাপ করছিল মেয়েটা!!! I’m sorry girl!
You did a big mistake!

কেউ যদি অতীতের ভুল শুধরে সামনে আগাতে চায় , তাকে পিছন থেকে টেনে এভাবে নাকানি চুবানি খাওয়ানোর রেওয়াজ কি বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও আছে???

নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য দোষি বলতেই পারি, কিন্তু এভাবে এট্যাকিং মোডে যাওয়ার কোন মানে হয় না।

এমনকি আমি মেয়েটাকে চিনিও না, ওর ভুল ভাল বাংলিশ/ইংলিশ শুনেও যথেস্ট বিরক্তও ছিলাম। কিন্তু অনেক আগে পড়া একটা আর্টিকেল এর কথা মনে পরেছিল, সুস্মিতা সেন নাকি হিন্দি মিডিয়াম এর স্টুডেন্ট ছিল, পরে গ্রমিং করে ইংরেজি শেখানো হয়, সুতরাং এই মেয়েটিকেও শেখানো সম্ভব ছিল।

কিন্তু কথা তা নয়, কথা হলো ব্যক্তিগত কিছু টেনে কাউকে ছোট করার কোন মানে হয় না। যদি নিয়ম এর বাইরে কিছু হয় , ইন্ভেস্টিগেশন করে শুধরানো হোক! এসব নোংরামির কোন মানে নাই।

আর আমার পরিচিত এমন কিছু মানুষ এমন সব লিখছে, একবারে, চালনি বলছে, সুই তোর পশ্চাদদেশে ফুটা!!!

মেয়েটার আগের ছবি দিয়ে before/after করছে! As if ৭/৮ বছর আগে তারা খুব ফুলপরি ছিল।

জন্ম থেকে কেউ স্টাইল/ফ্যাশন শিখে আসে না, আস্তে আস্তে নিজেকে ইম্প্রুভ করে! এই মেয়েটি নিজেকে ওই যায়গা থেকে এই যায়গায় আনতে পেরেছে , appreciate her!

আজ থেকে এক বছর আগেও আমি মেকআপ করতে পারতাম না, এখন শিখছি, গত বছর এর ঈদের নাটকের আমার মেকআপ /গেটাপ আর এ বছরেরটায় অনেক পার্থক্য! কারন আমি শিখছি, দিনে দিনে নিজেকে আরো ইম্প্রুভ করার চেস্টা করছি! এটাই নিয়ম!

Anyways, just one suggestion or request, please look at your 3/4 years old Facebook timeline before you make any statement about others !!!

But if you ask me honestly, there was not a single girl who is actually eligible to represent Bangladesh in an international level !!! I’m sorry. But this is the fact.”

 

বাংলাদেশ সময় : ১৬২৫ ঘণ্টা, ০৩ অক্টোবর,  ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ