বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড গুলোর মধ্যে আইয়ুব বাচ্চুর এলআরবি ছিল অন্যতম। ঢাকার মগবাজারের কাজি অফিসের গলিতে বছরের পর বছর একটি ভাড়া বাসায় ছিল আইয়ুব বাচ্চুর তথা এলআরবির নিজস্ব স্টুডিও এবং কার্যালয়। দেশে থাকলে এবং বাইরে কোনো অনুষ্ঠানসূচি না থাকলে দিনের বেশির ভাগ সময় সেখানেই কাটাতেন আইয়ুব বাচ্চু এবং এলআরবির সদস্যরা। পুরোনো ভবনের ওই ফ্ল্যাট গিটারের সুরে মুখরিত থাকত সারাটা দিন।
১৫ অক্টোবর দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ভবন আছে, কিন্তু নেই এবি কিচেন। গত মার্চে ফ্ল্যাটটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী চন্দনা ফেরদৌস আক্তার স্টুডিওর সব যন্ত্রপাতি এই সড়কের মাথায় আইয়ুব বাচ্চুর নিজের বাসায় নিয়ে যান। এবি কিচেন ও আইয়ুব বাচ্চুর ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রগুলো রেখে দিয়েছেন এখনো। শুধু এলআরবির বাদ্যযন্ত্রগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যান্ডটির সাবেক ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদের কাছে।
কে না জানেন, আইয়ুব বাচ্চুর গিটার সংগ্রহের শখ ছিল। নতুন একটি গিটার কিনেছিলেন মৃত্যুর চার দিন আগেও। আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে স্টুডিওতে বেশি সময় কাটিয়েছেন এলআরবির সাবেক গিটারিস্ট মাসুদ।
তিনি স্টুডিওতে রেকর্ডিংসহ সংশ্লিষ্ট কাজগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাসুদ জানান, কিছু গিটার আইয়ুব বাচ্চু বিক্রি করেছিলেন, কিছু উপহার হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিলেন। শেষ দিকে ৪০টির মতো গিটার ছিল। এ বছরের মার্চ মাসে ছবি তুলে ও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে গিটারগুলো আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রীর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি সেগুলো বাসায় নিয়ে গেছেন।