তিনি কী খাচ্ছেন, কী পরছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে প্রেম করছেন- তাকে নিয়ে আসমুদ্র হিমাচলের কৌতূহল সর্বক্ষণ তুঙ্গে! ৫৩ বছর বয়সেও ইন্ডাস্ট্রির তরুণ তুর্কিদের বলে বলে গোল করেন সালমান খান! লাইমলাইটে যে-ই আসুক না কেন, টক অফ দ্য টাউন ভাইজানই! তিনি এখনো ‘মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর’! সম্পর্ক হয়েছে বেশ কয়েকটা, কিন্তু টেকেনি। তবে, প্রাক্তনদের সঙ্গে কখনো তিক্ততা তৈরি হয়নি সালমানের!
আসলে সল্লু মিঞার \’আঁদায়’-ই আলাদা! আর পাঁচজন যা করার কথা ভাবতেই পারেন না, তাই অবলীলায় করে ফেলেন ‘ভাইজান’! যেমন, জন্মদিনের পার্টি দিলেন প্রাক্তন বান্ধবী সঙ্গীতা বিজলানির জন্য। শুধু পার্টির আয়োজনই নয়, প্রাক্তন বান্ধবী সঙ্গীতার জন্মদিনের হাজির ছিলেন সালমানের বর্তমান বান্ধবী লুলিয়া ভুন্টুরও।
আষির শেষের দিকে বলিটাউন কেঁপে উঠেছিল সালমান আর সঙ্গীতার দূরন্ত প্রেমে। বিয়েও করতে চেয়েছিলেন কপোত কপোতি। ১৯৯৩ সালে একটি সাক্ষাৎকারে সালমান বলেছিলেন, ‘সঙ্গীতাকেই বিয়ে করবো। আমার স্ত্রী হয় সঙ্গীতা হবে নয়তো কেউ নয়।’
বলিউড পাড়ায় কান পাতলে শোনা যায়, বিয়ের কার্ডও নাকি ছাপা হয়েছিল। কিন্তু সঙ্গীতাই নাকি বিয়েটা ভেঙে দেন। কারণ? সোমি আলির সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু আজহার উদ্দিনের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে যখন চূড়ান্ত অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন সঙ্গীতা, তখনও তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সালমান। সেই মসয় বহুবার সালমানের পরিবাররে সঙ্গেও দেখা যায় সুন্দরীকে।
একে একে সালমানের জীবনে আসেন ঐশ্বর্য রাই, ক্যাটরিনা কাইফ। চুটিয়ে প্রেম করেছেন, কিন্তু বিয়ে সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত এগোয়নি! আর এখানেই প্রশ্ন! কেন এতবছরেও কাউকে স্ত্রী হিসেবে ভাবতে পারেননি সালমান? কৌতূহলের অবসান ঘটালেন মিঞা নিজেই! জানালেন, কোনও মেয়েই নাকি আজ পর্যন্ত বিয়ের প্রস্তাব দেয়নি! কিন্তু বিষয়টা কী এতটাই সহজ? প্রশ্ন থেকে যায়।
ইত্তেফাক