বয়স লুকিয়ে রাখতে তারা নাকি ওস্তাদ। কেউ জিম করেন। কেউ বা মেনে চলেন কঠিন ডায়েট। সত্যিই আপনার প্রিয় তারকাদের এতটা বয়স হয়েছে, কিন্তু দেখলে বুঝা যায় না।
মাধুরী দীক্ষিত : অভিষেক বর্মনের ‘কলঙ্ক’-এ শেষবার বড়পর্দায় মাধুরীকে দেখেছেন দর্শক। তার হাসিতে এখনও মোহিত হয়ে যায় আট থেকে আশি। এ হেন মাধুরী কিন্তু বয়সের দিক থেকে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। তার বয়স ৫২।
অক্ষয় কুমার : শরীর ফিট রাখতে অক্ষয় কতটা কড়া ধাতের মানুষ, তা হয়তো অনেকেই জানেন। সিগারেট খাওয়া বা মদ্যপান— কোনওটাই তার রুটিনে নেই। এমনকি জিমেও যান না তিনি। ভোরে উঠে দৌড়ানো এবং সঠিক ডায়েটে অক্ষয় নিজের বয়সকে বাঁধতে পেরেছেন। তিনি এখন ৫১ বছর বয়সী।
টুইঙ্কল খন্না : খুব বেশি দিন অভিনয় করেননি টুইঙ্কল। বরং মন দিয়েছেন লেখালেখির কাজে। এই সেলিব্রিটির বয়সও যেন থমকে গেছে। আসল বয়স ৪৫ হলেও টুইঙ্কলকে দেখে তা মনে হয় না বলেই মনে করেন সিনে মহলের বড় অংশ।
অজয় দেবগণ : অজয় দেবগণের অভিনয়ের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি প্রশংসা হয়েছে তার চোখের। চোখ দিয়ে অভিনয় করে যে কাউকে পিছিয়ে দিতে পারেন তিনি। এ হেন অজয় বয়সের বিচারে সবে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছলেন।
কাজল : এক্সপ্রেশনই কাজলের অভিনয়ের শেষ কথা। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র অঞ্জলীর সারল্য বা ‘বাজিগর’-এর সেই প্রেম এখনও কাজলের মধ্যে খুঁজে পান তার অনুরাগীরা। অথচ বয়সের বিচারে কাজল এখন ৪৫-এর দোরগোড়ায়।
অনিল কপূর : যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন বয়স কমে যাচ্ছে অনিল কপূরের। এ কথা প্রায়ই বলেন তার অনুরাগীরা। শোনা যায়, ডায়েটের বিষয়ে নাকি খুব সচেতন নায়ক। সে কারণেই আসল বয়স ৬২ হলেও চেহারার তার ছাপ পড়তে দেননি অনিল।
কারিশমা কাপুর : ‘রাজা হিন্দুস্তানি’। কারিশমা দেখলেই এখনও বহু দর্শক প্রথমেই এই সিনেমাটির কথা বলেন। চিরকালই নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট মেনটেন করেছেন কারিশমা কাপুর। ৪৪ বছর বয়সেও সেই চার্মটা ধরে রাখতে পেরেছেন বলে মনে করেছেন ইন্ডাস্ট্রির সতীর্থরা।
মিলিন্দ সোমন: এ মুহূর্তে আপনার ইনস্টাগ্রাম ক্রাশ কে? যে বয়সের নারীর কাছেই প্রশ্নটা করুন না কেন, অনেক নামের মধ্যে মিলিন্দ সোমন কমন পাবেন। বয়স ৫৩। কিন্তু এখনও কেরিয়ারের প্রথম দিনের মতোই গ্ল্যামার ধরে রাখতে পেরেছেন এই মডেল।
জন আব্রাহাম : দু’দশক আগে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন জন আব্রাহাম। তিনি সেই দলের অভিনেতা, যার অভিনয় নয়, বরং চেহারা নিয়ে আলোচনা হত বেশি। এককালের নামজাদা মডেল জন ৪৬ বছর বয়সেও আকর্ষণীয় চেহারা ধরে রেখেছেন বলে মত সিনে বিশেষজ্ঞদের।
টিসকা চোপড়া : বহু দিন ধরে যে টিসকা লাইমলাইটে রয়েছেন, এমন নয়। বরং বিভিন্ন ওয়েব সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় টিসকাকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। আসল বয়স ৪৫ হলেও তা নাকি অনস্ক্রিনে বুঝতে দেন না তিনি।
অর্জুন রামপাল : সেক্সিয়েস্ট ম্যান। দীর্ঘদিন ধরেই বলি ইন্ডাস্ট্রিতে এই বিশেষ তকমা ধরে রেখেছেন অর্জুন। বিয়ে, বিচ্ছেদ, ফের নতুন করে প্রেমে পড়া— অর্জুন যেন বাকিদের থেকে অনেকটাই আলাদা। এ হেন নায়কের ৪৬ বছর বয়সেও সেক্সিয়েস্ট তকমাই প্রাপ্য বলে মনে করেন অনেকে।
জুহি চাওলা : যে নায়িকাদের মধ্যে পাশের বাড়ির ইমেজ ধরা আছে, জুহি তাদের মধ্যে অন্যতম। যে লুক নিয়ে কেরিয়ার শুরু করছিলেন, ৫১ বছর বয়সে পৌঁছেও তার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি বলেই মনে করেন তার অনুরাগীরা।
শিল্পা শেট্টি : ফিটনেস ফ্রিক। শিল্পার ক্ষেত্রে উপযুক্ত বিশেষণ। অভিনয়ের থেকেও তার যোগাভ্যাস নিয়ে বেশি শিরোনাম হয়। ৪৪ বছর বয়সেও তার ফিট থাকার রহস্য জিম ও ডায়েট।
আর মাধবন : ‘রহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’। ২০০১-এ মুক্তি পেয়েছিল মাধবনের এই ছবি। তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু মাধবন সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি। ধরে রেখেছেন বয়স। ৪৯ বছরের ছাপ পড়তে দেননি চেহারায়। অন্তত এমনটাই মনে করেন ভক্তরা।
মন্দিরা বেদী : ‘শান্তি’ সিরিয়ালের মাধ্যমে এক সময়কে মন্দিরাকে ঘরে ঘরে চিনতেন দর্শক। অভিনয় থেকে যখন ক্রিকেটের অ্যাঙ্কারিং শুরু করেন, একেবারে লুক বদলে ফেলেন মন্দিরা। ৪৭ বছর বয়সেও তিনি সমান আকর্ষণীয়।
রাহুল বসু : মূল ধারার সিনেমা নয়। বরং আরবান দর্শকের কাছে রাহুলের পরিচিতি বেশি। ৫১ বছর বয়সেও তিনি সমান আবেদন ধরে রেখেছেন বলে মনে করেন দর্শকদের একটা বড় অংশ।
মালাইকা আরোরা : আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন মালাইকাকে ইদানীং বার বার শিরোনামে নিয়ে এসেছে। ৪৫ বছর বয়সেও তার গ্ল্যামার ধরে রাখার রহস্য জানতে আগ্রহী বহু দর্শক।
সঞ্জয় সুরি : না! অভিনয় নয়। বরং ফিটনেসের কারণেই লাইমলাইটে থেকেছেন সঞ্জয়। বলিউডের এই হিরোর আসল বয়স যে ৪৮, তা অনেকেই মেনে নিতে চান না।
তব্বু : সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সালমান খানের ‘ভারত’-এ তব্বুকে দেখেছেন দর্শক। যে কোনও চরিত্রে তার অভিনয় মুগ্ধ করেছে বারবার। এই অভিনেত্রীও নিজের বয়স যেন ধরে রেখেছেন। তব্বু এখন ৪৭। দেখে মনে হয়?
লেটেস্টবিডিনিউজ/কেএস