সম্প্রতি একটি মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন নির্মাণ করে সমালোচনার মুখে পড়েন হুমায়ূন পুত্র নুহাশ। ‘রানিং রাফি’ নামে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি বিজ্ঞাপনের জন্য সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয়েছে এই তরুণ নির্মাতাকে। বিজ্ঞাপনটি অনলাইনে প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা এবং বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সমালোচনা এবং বিতর্কের মাঝেই বিজ্ঞাপনটির জন্য ক্ষমা চাইলেন নুহাশ হুমায়ূন।
গতকাল বুধবার বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে এমন বিজ্ঞাপন নির্মাণের জন্য ক্ষমা চান নুহাশ। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো:
সাম্প্রতিক একটা বিজ্ঞাপন নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে যেটা আমার নির্মিত, সে ব্যাপারে আমি কিছু কথা বলতে চাই।
আমি বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছি তৃতীয় কোনো ব্যক্তির কনসেপ্টে। মূল ভাবনাটা আমার পছন্দ হয়েছিলো। মূল বিষয়টি ছিল একটি পরিবারের উপর, যারা পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করে। যেখানে মুসলিমরা সংখ্যালঘু। রমজানের একটা ক্যাম্পেইন হিসেবে এটা করতে চেয়েছিলাম। যেটা ফোকাস করেছিল একতায়, ধর্মের চেয়েও বেশি একাত্মতায়। তার আগে আমি নিশ্চিত হয়ে নিয়েছিলাম যে, এটা সত্য ঘটনা অবলম্বনেই কী না!
যেহেতু বিজ্ঞাপনটিতে উল্লেখ আছে ‘অ্যা নুহাশ হুমায়ূন ফিল্ম’, তার অর্থ আমি কনসেপ্ট পছন্দ করেছি, স্ক্রিপ্ট পর্যালোচনা করেছি, আমার সোর্সগুলোকে বিশ্বাস করেছি এবং এমনকি পছন্দসই ফন্টটিও নির্বাচন করেছি আমার নাম স্ক্রিনে লেখার জন্য। নির্মাতা হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব সমস্ত দায়ভার স্বীকার করা এবং নেতৃত্ব দেওয়া। আমি ক্ষমাপ্রার্থী তাদের সবার কাছে যাদের আমি আহত করেছি বা কষ্ট দিয়েছি অথবা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছি। সাথে সাথে এও স্পষ্টভাবে বলছি যে কখনোই, কোনোভাবেই এটা আমাদের উদ্দ্যেশ্য ছিলো না।
বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য বহু মানুষ তার ও তার পরিবারকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণও করছেন। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞাপনচিত্রে যে ছেলেটি অভিনয় করেছে তাকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন নুহাশ।
যে বিজ্ঞাপনচিত্রটি নিয়ে সমালোচনা বা বিতর্ক সেটিতে দেখা যায় একটি পাহাড়ি অঞ্চলের গল্প। আজানের শব্দ শোনা যায় না এমন একটি এলাকা। যেখানে রমজান মাসে সেহেরি ও ইফতারের সময় পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালি মুসলমানদের আজানের সময় জানিয়ে দেয়া এক পাহাড়ি কিশোর রাফি। যাকে দৌড়ে গিয়ে বাঙালি মুসলমানদের ইফতার ও সেহরির সময় জানিয়ে দিতে দেখা যায়। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দাবি, এমন গল্পের মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।