বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে অবিস্মরণীয় দুই কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদ ও সুবীর নন্দী। একজন সাহিত্যের পাতা আর নির্মাণে দেখিয়েছেন জাদুকরি মুন্সিয়ানা, আর অন্যজন কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন কয়েক প্রজন্মের শ্রোতাদেরকে। বরেণ্য এই দুই ব্যক্তিত্ব প্রয়াত হয়েছেন। অবাক করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, তাদের বিদায়েও তৈরি হয়েছে এক অন্যরকম মেলবন্ধন।
সাত বছর আগে তথা ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। দিনটি ছিল রমজানের প্রথম দিন। এদিকে সুবীর নন্দী চিরবিদায় নিলেন গত ৭ মে। এই দিনটিও রমজানের প্রথম দিন।
হুমায়ূন আহমেদ ও সুবীর নন্দীর মৃত্যু দিনের এই যোগসূত্রের খবর দিয়েছেন হুমায়ূনপত্নী, নির্মাতা ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি সুবীর নন্দীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন।
শাওন তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “মা তুমি কান্দিও না। বাবু চলে গেছে মা, ঠাকুর বাবুকে তার কাছে নিয়া গেছে। বালা দিনে নিয়া গেছে রমজানের পয়লা দিনে, কান্দিও না মা…” সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় সুবীর নন্দীর কন্যা ফাল্গুনী নন্দী সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন তার মা’কে… আহারে…
সিঙ্গাপুর প্রবাসী ভাই শহীদ হোসেনের এর মাধ্যমে জানলাম কথাগুলো। মৃত্যুতে ইদানীং আমার আর চোখ বেয়ে পানি পড়ে না! চোখের কোনে একটু ভিজে ওঠে শুধু! গুণী মানুষগুলোর একে একে চলে যাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি হয়তো আমি!
কিন্তু চোখের জল আজ মানছেই না! মানতে হবে কেন সবসময়! রমজানের প্রথম দিনে অচিন দেশে পাড়ি জমালেন প্রিয় সুবীর নন্দী। ৭ বছর আগে রমজানের প্রথম দিনেই চন্দ্রকারিগরের সেই দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ! আমার তো আজ কাঁদবারই দিন।