প্রতি মাসেই বিদ্যুতের দাম সমন্বয় হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

এখন থেকে প্রতি মাসেই বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে গতকাল শুক্রবার ‘১৪তম ডিআরএমসি-সামিট জাতীয় বিজ্ঞান মেলা-২০২৩’ উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

আগামী এপ্রিল থেকে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। বিদ্যুতের দাম প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা বলেছি প্রতি মাসে আমরা কিছু সমন্বয় করব, সেটাই এখন চলছে। প্রতি মাসেই আমরা এটা অল্প অল্প করে সমন্বয় করব।’

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সেই সময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম প্রতি মাসে সমন্বয় করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। কমিশন শুনানি করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই নির্বাহী আদেশে ৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। মূলত বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশই বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা।কিন্তু গ্রাহকের ওপরে যেন একবারে চাপ না পড়ে সেজন্য ধাপে ধাপে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই হিসাবে আগামী ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দাম সমন্বয় করে আরও ৫ শতাংশ হারে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে।

সেচ মৌসুমে কৃষকের শঙ্কা বাড়াচ্ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, ‘সেচের জন্য অনেক জায়গায় সারাদিন ধরে পাম্প চালান অনেকেই। আমরা একটা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে আপনারা সেচের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। তবে কিছু কিছু জায়গায় এটা নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটা কোনো সমস্যা নয়, আমরা ঠিক করছি। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি আরও ভালো থাকবে, বিশেষ করে আগামী মাস থেকে।’ নির্ধারিত সময়ের পরিবর্তে সারাদিন সেচযন্ত্র চালিয়ে রাখলে সমস্যা হবে বলেও জানান তিনি।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করেছি। আমাদের লক্ষ্য এপ্রিল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস দিতে পারি, সেটারও ব্যবস্থা করছি। ভোলার গ্যাস আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে দিতে পারব বলে আশা করছি।’