বই না পেয়ে স্কুলবিমুখ শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর সরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল। প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর এ স্কুলে মাত্র এক হাজার ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী বই পেয়েছে। বাকিরা খালি হাতে প্রতিদিন স্কুলে আসছে, ফিরে যাচ্ছে। এতে শিশুশিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। এছাড়া মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা স্কুল ছেড়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরছে।

স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম এবং দশম শ্রেণির বই পেয়েছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবমের বই আসেনি। আসতে কিছুটা দেরি হবে বলে জেনেছি।’

প্রায় একই রকম পরিস্থিতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। সেখানে তিনটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো কোনো বই পায়নি। দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুইটি করে বই পেয়েছে। এছাড়া দুই শ্রেণিতে তিনটি করে বই দেওয়া হয়েছে। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অবশ্য সব বই পেয়েছে। যদিও ইংরেজি ভার্সনের কোনো বই এখনো শিক্ষার্থীরা হাতে পায়নি।

শুধু এ দুই স্কুল নয়, রাজধানীর অন্তত ১০টি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে খোঁজ নিয়ে একই ধরনের তথ্য মিলেছে। তার মধ্যে রয়েছে নামি স্কুল হিসেবে খ্যাত মতিঝিল আইডিয়াল, ভিকারুননিসা নূন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজও। এমন পরিস্থিতিতে বই ছাড়া খালি হাতে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন স্কুলে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

শিক্ষকরা বলছেন, তারা প্রতিদিন যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়ম করে যোগাযোগ রাখছেন। তবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তেমন কোনো সুখবর নেই বলে জানানো হয়েছে তাদের। তারপরে হয়তো পর্যায়ক্রমে পাঠ্যবই স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কাজে গতি আসতে পারে বলে জেনেছেন তারা।

তবে সন্তান হাতে নতুন পাঠ্যবই না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ অধিকাংশ অভিভাবক। কেউ কেউ অবশ্য দেশের পট-পরিবর্তনের কারণে বই পেতে দেরি হওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়ে তুলনামূলক ‘কম অসন্তুষ্টি’র কথা জানিয়েছেন।

Scroll to Top