মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে উচ্চ আদালতে। রিটে ভুল পাঠ্যক্রম প্রণয়নকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ২০২৫ সাল থেকে বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামরুল হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।
শিক্ষা সচিব, এনসিটিবি চেয়ারম্যান, মাউশির মহাপরিচালক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে এ রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রণীত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সবকিছু উপেক্ষা করেই সরকার তা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হওয়ার পর নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষা কারিকুলাম স্থগিতের কথা ভাবছে।
গত ১৮ আগস্ট শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রমকে কার্যকর করা সম্ভব বলে মনে করেন না তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির সরকার নতুন শিক্ষা কারিকুলাম স্থগিত ঘোষণা করতে পারে।