যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, ছড়রা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আর ইটপাটকেল ছুড়ছে আন্দোলনকারীরা।
এতে চারজন পুলিশসহ ৪০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং পথচারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পুলিশ সড়ক দখল নেওয়ার জন্য মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেও ব্যর্থ হয়। এ সময় বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরাও সঙ্গে ছিলেন।
বুধবার রাত থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়কে গাছের গুড়ি জ্বালিয়ে সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে শত শত মালবাহী গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন সড়কে আটকা পড়ে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হানিফ ফ্লাইওভারের কুতুবখালী টোলপ্লাজায় জ্বালিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।