জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর এ দাবি জানান তারা।
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে সব প্রকার ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, ছাত্রীদের হল খোলা রাখতে হবে এবং তাদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যারা কোটা সংস্কারের এই ন্যায্য দাবির সংগ্রামে অংশ নিয়ে আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হবে; শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; মেসে অবস্থান করা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মেসে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণে নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।সদরঘাট, বাহাদুর শাহ পার্ক, শাঁখারীবাজার মোড়, সরকারি নজরুল কলেজসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্দেহজনক মনে হলেই তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ক্যাম্পাস থেকে লাপাত্তা হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ছয়জন মারা যাওয়ার ঘটনায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে জবি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে হলের ছাত্রীরা হলের নিচে এসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার বলেন, ‘আমরা মৌখিকভাবে সবাইকে বলে দিয়েছি, কাউকে হল থেকে চলে যাওয়ার জন্য জোর করা হবে না। হলের ওয়াই-ফাই ও পানি বন্ধ করা হবে না।পরবর্তীতে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।