দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই থেকে রাবি-রুয়েট শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি

প্রত্যয় স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায় না হলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবে রাবি ও রুয়েট শিক্ষক সমিতি।

প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের পাশপাশি শিক্ষকদের অন্য দুইটি দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভূক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র স্কেল প্রবর্তন।

এবিষয়ে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, এর আগে আমরা যে সকল কর্মসূচির বিষয়ে বলেছিলাম, সেগুলো এখনো বহাল রয়েছে। আগের কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস (৯টা-১টা) কর্মবিরতি ছিলো। ছুটির কারণে একদিন কমিয়ে এটা দুইদিন অর্থাৎ, ২৬ ও ২৭ জুন পালন করা হবে। শুধু পরীক্ষা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এদিনও পরীক্ষা আওতামুক্ত থাকবে। আর এর মধ্যে যদি আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বানে অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আমরাও ১ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবো। সেখানে শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষাসহ কোনো কাজেই অংশগ্রহণ করবেন না।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহেদ হাসান খান বলেন, শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়। কিন্তু সরকার যে বৈষম্যমূলক পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তা দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আমরা ১ জুলাই থেকে সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষনা করবো।

Scroll to Top