জাতীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে উন্নত জ্ঞান ও দক্ষতা সম্পন্ন পেশাদার জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে পটুয়াখালী জেলার দুমকিতে ২০০০ সালের ৮ জুলাই যাত্রা শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের প্রথম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)। জাতিকে সেবা দেয়া, দক্ষ ও আলোকিত জনবল সৃষ্টির জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আধুনিক শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ প্রদান ও যোগ্য উদ্যোক্তা তৈরিতে এর অবদান অসামান্য।
কালের পরিক্রমায় ২৪ বছর পেরোনো পবিপ্রবি আজ পরিণত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষা ও গবেষণার আতুড়ঘরে অনেকের ভাষায় বাতিঘরে। নেতৃত্ব দিচ্ছে এ অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণায়।
ক্যাম্পাস
পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে দুমকি উপজেলা সদরে পবিপ্রবির অবস্থান। বহিস্থ ক্যাম্পাস (বাবুগঞ্জ) সহ মোট ১০৯.৯৭ একর জমি নিয়ে দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ৯ টি অনুষদের অধীন ৫৯ টি বিভাগে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শতভাগ আবাসিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য জন্য ৫ টি ও মেয়েদের জন্য ৩ টি হল রয়েছে। এছাড়াও ২ টি হল নির্মানাধীন রয়েছে।
গবেষণায় পবিপ্রবি
গেলো বছর আলফার ডগার (এডি) সাইন্টিফিক ইনডেক্সে পবিপ্রবির ১১৭ জন গবেষক বিশ্ব সেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের আওতায় বর্তমানে ইনস্ট্রুমেন্টাল এনালাইটিক্যাল ল্যাব, কেমিক্যাল এনালাইটিক্যাল ল্যাব ও সয়েল-প্লান্ট এনালাইটিক্যাল ল্যাব নামে ৩ টি পৃথক অত্যাধুনিক ল্যাব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৮০১ টি গবেষণা প্রকল্প বরাদ্দ করা হয় এবং সবকটি গবেষণা প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হয়। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৬ টি প্রোগ্রাম বেইজড্ গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। বর্তমানে নিজস্ব ও সরকারি অর্থায়নে ২০২২-২৩ বর্ষে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প ১৫৩ টি।
এ গবেষণা প্রকল্পের ভেতর রয়েছে পবিপ্রবি গবেষকদের সাড়া জাগানো বেশ কিছু কাজ–
বায়োচার প্রযুক্তি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. শামীম মিয়া তিন বছর দীর্ঘ গবেষণার পর ২০১৪ সালে বায়োচার প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনে সক্ষম হন। তিনি সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে বায়োচার প্রযুক্তির উন্নয়নে বেশ কয়েকজন স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে বায়োচার প্রযুক্তি নিয়ে এ্যাডভান্স কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই) ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বর্তমানে প্রফেসর ড. শামীম মিয়ার তত্ত্বাবধানে জৈব বর্জ্য থেকে বায়োচার উৎপাদন এবং সেই বায়োচার কম্পোস্ট বায়োমাসের সাথে মিশিয়ে উন্নত মানের কম্পোস্ট সার উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ গবেষণায় সফল হলে দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও উৎপন্ন বর্জ্যের কার্যকর ব্যাবহার নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি এ প্রকল্পের আওতায় বায়োচার সমৃদ্ধ ফসফেট সার উৎপাদন, বায়োচার থেকে রাইজোবিয়াল ফার্টিলাইজার বা বায়োচার অণুজীব সার উৎপাদন প্রক্রিয়া গবেষণাধীন রয়েছে। যেগুলো আমাদের মতো কৃষি নির্ভর দেশের জন্য এক অপার সম্ভাবনার হাতছানি। কৃষি প্রযুক্তি ও গুণগত উন্নয়নে বায়োচার আগামীতে অন্যন্য ভূমিকায় থাকবে বলে আশা করছেন অনেকে।
দেশের প্রথম ও একমাত্র জলহস্তি কঙ্কাল
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অ্যানাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাইদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে একদল শিক্ষার্থী জলহস্তীর হাড় জুড়ে একটি কঙ্কাল প্রস্তুত করেছেন। ১১ মাস সময় নিয়ে তৈরী এ কঙ্কালটি দেশের প্রথম ও একমাত্র জলহস্তি কঙ্কাল।
অ্যানাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেন, রংপুর চিড়িয়াখানায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় লিওন নামে জলহস্তীটির। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের সহযোগিতায় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক আব্দুল জব্বারের অনুমতিতে সেপ্টেম্বর মাসে সেটি চিড়িয়াখানা থেকে উত্তোলন করে ক্যাম্পাসে আনা হয়। উল্লেখ্য, বর্তমানে ড. মো. সাইদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে একটি বাঘের কঙ্কালও তৈরী প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে যার ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান এ গবেষক।
পাঁচ শতাধিক ধানের গবেষণা ও জার্মপ্লাজম
দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশীয় ধানের গুণগত মান সংরক্ষণ ও এর জিনগত উন্নয়নের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি সম্পর্কিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগ। বর্তমানে পাঁচ শতাধিক জার্মপ্লাজম নিয়ে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বর্তমানে এ সংগ্রহশালায় ১০০টি দেশীয় জাতের পাঁচ শতাধিক রকমের ধানের জার্মপ্লাজম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে স্বর্ণভোগ, চারুলতা, নাকুচিমোটা, স্বর্ণ মুশুরী, স্বাক্ষরখোড়া, মোথামোটা, কালোজিরা, ছোটহরি, কালোকোটা, কাজল শাইল, মৌলতা, ক্ষীরামোটা, লালমোটা অন্যতম। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পবিপ্রবি’র গবেষক প্রফেসর ড. শামিম মিয়া বলেন, “পবিপ্রবি’তে দেশীয় ধানের যে বিশাল সংগ্রহশালা রয়েছে দেশে এমন সংগ্রশালা বিরল। এ ধানের জাতগুলোর বেশ কয়েকবছর ধরে জেনেটিক্যালি মোডিফিকেশনের কাজ চলছে যেগুলোর মাধ্যমে উচ্চফলনশীল ধান আবাদ সম্ভব। এ ধান গুলোর সিড তৈরী করে মাঠপর্যায়ে তথা কৃষকের হাতে পৌছে দিলে দেশের কৃষির জন্য এক বিস্তর সাফল্য বয়ে আনবে বলে আশা করছি”।
ভুট্টা ও সূর্যমুখী চাষে প্রযুক্তি উদ্ভাবন
২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুল হকের নেতৃত্বে একদল গবেষক ভুট্রা ও সূর্যমুখী চাষে একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে। “ফ্ট্রিপ মেথড” নামক এই পদ্ধতির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে এ ধরণের ফসল সাধারণের চেয়ে ২২-২৫ শতাংশ বেশী উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। যেখানে এ অঞ্চলের জলবায়ুর তারতম্যের কারনে এ ধরণের ফসল একেবারেই উৎপাদন সম্ভব হতো না।
ফলের জাত উদ্ভাবন
বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহত্তর জার্মপ্লাজম ইতোমধ্যে সফলতার সাক্ষ্য বহন করছে। জার্মপ্লাজমটি স্থানীয় ফলমূল ও বৃক্ষের জিনগত উন্নতি সাধনে বেশ কয়েকবছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে। যা পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তনে দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তায় আশানুরূপ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। ইতোমধ্যে এখানে বেশ কয়েকটি উন্নত ও উচ্চফলনশীল ফলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে পিএসটিইউ বিলাতী গাব-১, পিএসটিইউ বিলাতী গাব-২, পিএসটিইউ ডেউয়া-১, পিএসটিইউ ডেউয়া-২, পিএসটিইউ বাতাবি লেবু-১, পিএসটিইউ কামরাঙ্গা-১, পিএসটিইউ কামরাঙ্গা-২, পিএসটিইউ তেঁতুল-১, পিএসটিইউ বৈচী-১ অন্যতম।
লবণাক্ততা ও জলামগ্নতা সহিষ্ণু ধান উৎপাদন
দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির অন্যতম অন্তরায় হলো মাটির লবণাক্ততা ও জলামগ্নতা। এ অঞ্চলের মাটিতে অতিরিক্ত লবন থাকার কারনে এখানে উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদন দুরূহ ব্যাপার। এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল সাহা ও অধ্যাপক ড. শামীম মিয়ার যৌথ গবেষণায় লালমোটা, সাদামোটা অথবা সাক্ষ্মরখোরার মত স্থানীয় ধানের জাতের সাথে উচ্চ ফলনশীল ধান সংকরায়নের মাধ্যমে উন্নত জাতের ধান উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি অতিবৃষ্টিপাতে এ অঞ্চলের ধান উৎপাদনে যে ব্যাঘাত ঘটে তা প্রতিকারে জলামগ্নতা সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবন প্রক্রিয়াধীন। উক্ত গবেষণা গুলো প্রায়ই সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পথে আছে বলে অভিমত গবেষকদের। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গ তথা সমগ্র দেশের কৃষিতে আমূল-পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কৃষি-সহায়ক এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ড. তাওহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ২০২২ সালে এগ্রো-ডিজিজ মনিটরিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট এ্যাপটি(AGDMM) ডেভেলপ করা হয়। এ এ্যাপটি কোন ধরণের নেটওয়ার্ক কানেকশন ছাড়াই কৃষকদের ফসল ও ফসলের গুণগত মান রক্ষার্থে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকে।
মৎস্য গবেষণা
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের তত্ত্বাবধায়নে ‘দানিডা’ কর্তৃক অর্থায়নে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেনমার্কসহ ইউরোপ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে ‘ব্যাংফিশ’ নামক যৌথ প্রকল্প সফলভাবে শেষ করে তার ধারাবাহিকতায় ‘ইকোপ্রাউন’ নামক প্রকল্প শুরু হয়েছে- যা ২০২২ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চলবে। সম্প্রতি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে মৎস্য অধিদপ্তরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২টি গবেষণা প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যেখানে একটি প্রকল্পে সী-উইড দিয়ে খাবার তৈরি করে ভেটকি মাছের চাষ বৃদ্ধি এবং অপর প্রকল্পে টুনা ও টুনাজাতীয় মাছের মূল্য সংযোজন ও নিরাপদ শুটকি তৈরি নিয়ে গবেষণা হবে। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের ‘ফিশ সেফটি ফাউন্ডেশন’ এর পরিচালনায় ও যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সমুদ্রগামী মৎস্যজীবীদের নিরাপদ ও উন্নত জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে ‘ফিশিং সেফটি ইন্টারভেনশন প্রোগ্রাম’ (fish SAFE 2025 Phase-1) চলমান রয়েছে। পাশাপাশি স্থায়িত্বশীল সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী “Marine Fisheries Research Institute” প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিদেশি শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২১ জন বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি এসকল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ও গবেষণা কর্যক্রমে সমানভাবে অংশগ্রহণ করছেন। এখানে পড়তে আসার অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে নেপাল থেকে আগত কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী বীরেন্দ্র কুমার যাদব বলেন, “বাংলাদেশের মত নেপালও একটি কৃষি প্রধান দেশ। তাই ছোট থেকেই কৃষির প্রতি আমার আগ্রহ রয়েছে। আর শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে একটি সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠায় পবিপ্রবি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি আমরা যারা বিদেশ থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি তাদের আবাসিক সুবিধা থেকে শুরু করে এখানকার উন্মুক্ত গবেষণার সুযোগ তথা সকল কিছুই আমাদের এখানে আসতে আগ্রহী করেছে”
উপাচার্যের বক্তব্য
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবসময়ই গবেষণার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হয়। গত কয়েক বছরে পবিপ্রবি গবেষণা খাতে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। উন্নত জাতের ফলের উদ্ভাবন থেকে শুরু করে বায়োচার প্রযুক্তি, ফিশ ফিড এবং শুঁটকির সংরক্ষণ প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ উপকূল অঞ্চলের কৃষিজ উন্নয়নে পবিপ্রবির গবেষকেরা কাজ করে যাচ্ছেন”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরও এগিয়ে নিতে সরকার ইতোমধ্যে এনিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেনারী মেডিসিন অনুষদের উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকা বাজেট অনুমোদন দিয়েছে যার আওতায় ‘এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ ও একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে। পাশাপাশি কুয়াকাটায় ‘ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠায় ৭০০ কোটি টাকা বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”