হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন ২০২৩-২৪–এর আঞ্চলিক পর্বে বিজয়ের পর গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নিতে চীন সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) তিন শিক্ষার্থীর এ দলটি গতকাল মঙ্গলবার রাতে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। এই তিন শিক্ষার্থী হলেন শুভম আগরওয়ালা, রাকেশ কর ও মো. মাজহারুল ইসলাম।
এর আগে দলটি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) রাউন্ডে ১৪টি দেশের ৬ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা চীনের শেনঝেনে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে যাচ্ছেন। চূড়ান্ত এই পর্বে ৪০টি দেশ থেকে ৫২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ও ১৭০ শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন।
চূড়ান্ত পর্ব মূলত একটি দলীয় প্রতিযোগিতা, যেখানে ১৭৪টি দল রয়েছে এবং তারা নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাক—এ চারটি আলাদা-আলাদা ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করবে। নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে অন্য ৫১টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ছয় দিনের এই সফরে অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক মতবিনিময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, হুয়াওয়ের রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন এবং চীনের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লি জংশেং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছি। হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন এর মধ্যে একটি। শুরু থেকেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল ফাইনালে উঠতে দেখে আমি খুবই আনন্দিত। আমি ফাইনালে তাদের সাফল্য কামনা করি।’
রুয়েটের উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘হুয়াওয়ের এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছে। আমি এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছাত্রদেরকে চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে দেখে খুবই খুশি হয়েছি। চূড়ান্ত পর্বে তারা অনেক দেশের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।’
এদিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে হুয়াওয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশে হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। গত অক্টোবরে শুরু হওয়া এবারের প্রতিযোগিতায় ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন। হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন শুরুর পর এবারই প্রথম সরাসরি এত বড় আয়োজনের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও জ্ঞান আরও বৃদ্ধি করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তর গতিশীল করতে এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে হুয়াওয়ে।
