চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় একটি আসনের বিপরীতে লড়বে ৪৯ জন ভর্তিযোদ্ধা। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।
জানা যায়, চারটি ইউনিট ও দুটি উপ-ইউনিটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের জন্য চূড়ান্তভাবে আবেদন করেছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৫ জন শিক্ষার্থী। তবে টাকা জমা না দেওয়ায় ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেও ১১ হাজার ১৪৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম জানান, ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৯৯ হাজার ৫২১ জন।‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬৫ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী। ‘সি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ১৭ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী। ‘ডি’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৮০৪ জন। দুইটি উপ-ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে আবেদন পড়েছে ১ হাজার ৬৬৯ জনের। আর ‘ডি-১’ উপ ইউনিটে ৩০টি আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৯৯৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।
এ বছর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইংরেজিতে ৪০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ৩০ ও সমস্যা সমাধান (প্রবলেম সলভিং) অংশে ৩০ নম্বর থাকবে। এছাড়াও এবার সব বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেবে এই ইউনিটে। এতে করে শিক্ষার্থীরা দক্ষতার সাথে নিজেদের যাচাই করতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার জন্য শর্তসাপেক্ষে সুযোগ রাখা হয়েছে। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে, ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২০ নম্বর যোগ হবে। তবে দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের মোট নম্বর থেকে কাটা পড়বে ৫ নম্বর। ভর্তি ফি ছিলো ১০০০ টাকা।
প্রথমবারের মতো এবারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে একাধিক বিভাগে। কেন্দ্র হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। তবে চাইলেই এ দুই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এ সুযোগ দেওয়া হবে। যিনি আগে আবেদন সম্পন্ন করবেন, তার পছন্দক্রম অনুসারে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে তার কেন্দ্র আগে নির্ধারণ করা হবে।