ডোনেশান বাণিজ্য বন্ধে বেসরকারি মেডিকেলে অটোমেশন পদ্ধতি

ডোনেশান বাণিজ্য বন্ধে বেসরকারি মেডিকেলে অটোমেশন পদ্ধতি
প্রতীকী ছবি

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবার অটোমেশন পদ্ধতি চালু করেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি, সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে ডোনেশানের নামে বাণিজ্য বন্ধ হবে। সেই সাথে যোগ্য শিক্ষার্থীরাই চিকিৎসা শাস্ত্রে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হবে একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে। যা কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারিতে থাকবে।

বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থী ভর্তির মতো অনিয়ম বন্ধ করতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পুরো ভর্তি প্রক্রিয়াকে আনা হয়েছে অটোমেশনের আওতায়। যাতে কেবল ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরাই মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।

সেই সাথে সরকার নির্ধারিত ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবেনা কোন প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ আছে, এর আগের বছর গুলোতে সরকারি নির্ধারিত ফি প্রায় ১৯ লাখের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৩ গুণ অর্থ দিয়ে ভর্তি করা হতো বেসরকারি মেডিকেল কলেজে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটু মিয়া বলেন, অনেকেই আগে অভিযোগ করেছেন- বেসরকারি মেডিকেলগুলো বেশি টাকা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে। কিন্তু এবার আর সেই সুযোগ থাকবে না। যার সিরিয়াল আছে- সে সেই টাকা দিয়েই ভর্তি হবে। অটোমেশন পদ্ধতিতে আমরা মেধাকে মূল্যায়ন করছি।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, এবার এমবিবিএস ও ডেন্টালের প্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশ করে ৪৯ হাজার। এদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে চার হাজার ৩শ’ ৫০ জন। আর ৭২টি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হবেন ৬ হাজার ২শ’ ৮ জন। মেধার তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ভর্তি না হলে অটোমেশন প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরাও আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

অধ্যাপক মো. টিটু মিয়া আরও বলেন, দেশের যে ডিগ্রি আছে তা আগামী বছর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হবে।

এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি মেডিকেলে অটোমেশনের আওতায় ভর্তিতে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি বাণিজ্যের সাথে জড়িত বিভিন্ন চক্র সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে তারা উচ্চ আদালতেও গেছে।