গত রোববার ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এবার গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখের বেশি। বিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব মিলিয়ে ২১ হাজার ১১৮ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১০ হাজার ৪৭৯টি। বিজ্ঞানে আবেদন করেছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ জন। সে হিসেবে বিজ্ঞান বিভাগে প্রতি আসনের বিপরীতে ১৬ জন ভর্তিচ্ছু প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
এসব তথ্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে আসন ১ হাজার ২৪৫টি, ইবিতে ৫৫০টি, শাবিপ্রবিতে ১ হাজার ৫০টি, হাবিপ্রবিতে ১ হাজার ২০৫টি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০০টি, বশেমুরবিপ্রবিতে ৭৫৫টি, বেরোবিতে ৭০৭টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৯টি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫০টি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০টি।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৭৩৩টি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭২০টি, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৫০টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩০টি, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০টি।
এছাড়া, নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে একশটি আসন রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলোই বিজ্ঞান শাখার জন্য। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০টি, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৬৫টি আসন রয়েছে।
মানবিকের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২০ মে, বাণিজ্যের (‘সি’ ইউনিট) ২৭ মে এবং বিজ্ঞানের (‘এ’ ইউনিটের) ভর্তি পরীক্ষা ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরীক্ষা হবে।
শিক্ষার্থীদের এবার ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম ৩০ নম্বর পেতে হবে। ১০০ মার্কের ১০০ টি বহু নির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই যোগ্যতা অনুযায়ী পছন্দ করা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন।
২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যেকোনও একটি কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরবর্তীতে পরিবর্তন করা যাবে না। সময়ক্ষেপণ রোধে এবার একটি মেধাতালিকা ও আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি অপেক্ষমান তালিকা হতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হবে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
সংবাদ সূত্রঃ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস