সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ফের লটারির নির্দেশ দিয়েছে।
সম্প্রতি মাউশির মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক ও ঢাকা মহানগরীর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনের বিপরীতে যে সব প্রতিষ্ঠানে আবেদন কম পড়েছে অথবা শূন্য আসন পূরণ হয়নি, সে সব প্রতিষ্ঠানে ফের লটারি হবে।
এক্ষেত্রে এক শ’ টাকা মূল্যে আবেদন ফরম বিতরণ করে ম্যানুয়ালি স্থানীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালা অনুসারে ভর্তি কমিটির অনুমতি নিয়ে লটারি করতে হবে। লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের সময় কমিটির প্রতিনিধির উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
উল্লেখ্য, সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি সোমবার (১২ ডিসেম্বর) উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর পরদিন লটারি অনুষ্ঠিত হয় বেসরকারি বিদ্যালয়ের। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে স্কুল ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
এবারের লটারিতে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। আর বেসরকারিতে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি। ফলে বেসরকারি আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭টি।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম অনলাইন ও লটারির মাধ্যমে করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা সদর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।
আগামী বছরের জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৬ নভেম্বর, যা চলে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।