গত ৭ নভেম্বর গণপরিবহনেরর ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তারপর থেকেই তৈরি হয়েছে ভাড়া নিয়ে জটিলতা। বাড়তি ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি বাকবিতণ্ডা চলছে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়েও।
সম্প্রতি ‘হাফ ভাড়া’ দেওয়ায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। দাবি না মানা হলে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কঠোর আন্দোলনের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাফ ভাড়া দিতে চাইলে হেলপারদের খারাপ আচরণের শিকার হতে হয়। নিজেদের আয় না থাকলেও পরিবহনে বাড়তি ভাড়া দিতে হিমশিম অবস্থা তাদের।
গতকাল বৃহস্পতিবারের (১৮ নভেম্বর) আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা জানান, পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্রদের হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে। আগামী শনিবারের মধ্যে এ বিষয়ে সুরাহা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।
অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, দিনশেষে মালিক সবার হিসেবেই ফুল ভাড়ার টাকা নেয়। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে পারেন না তারা। তবে দু-একটি পরিবহনের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম রয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া টাস্কফোর্সের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে সংশ্ষ্টিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয় আমরা মনিটরিং করছি।