আগামী ১৪ নভেম্বর এসএসসি ও ২ ডিসেম্বর এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করে রুটিন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ নভেম্বর এসএসসি ও ২ ডিসেম্বর এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ধরেই রুটিন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব খালেদা আক্তার স্বাক্ষরিত এই সময় সূচি প্রকাশ করা হয়।
পরীক্ষার সূচির বিশেষ নির্দশনায় বলা হয়, কোডিড-১৯ অতিমারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা। এমসিকিউ সিকিউ ও সিকিউ অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনও বিরতি থাকবে না।
সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে অলিখিত উত্তরপত্র এবং বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ, সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ। সকাল সোয়া ১০টায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ, দুপুর সোয় ২টায় উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন আগে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করবে।
শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যয়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতা (নোটবুক) এর নম্বর প্রদান করে নম্বরগুলো ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক খাতার (নোটবুক) নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
পরীক্ষার্থীগণ তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর (OMR) নামে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনও অবস্থাতেই উত্তপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক খাতার (নোটবুক) নম্বরের অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনও অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
কোনও পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। কোনও ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব ফিচার ফোন (স্মার্ট ফোন ব্যতীত) ব্যবহার করতে পারবেন।
সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) ও বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাতদিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএস-এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
এসএসসির সময় সূচিতে জানানো হয়, বিশেষ প্রয়োজনে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং বিকাল ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম দিন ১৪ নভেম্বর সকালে পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা সকালে এবং হিসাব বিজ্ঞান বিকালে অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ নভেম্বর (তত্ত্বীয়) রাসায়ন, ১৮ নভেম্বর শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া ((তত্ত্বীয়)) অনুষ্ঠিত হবে। ২১ নভেম্বর ভূগোল ও পরিবেশ, ২২ নভেম্বর উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান সকালে এবং ফিন্যান্স ও ব্যাকিং বিকালে অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ নভেম্বর পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সকালে আর বিকালে ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।