প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের উপস্থিতি-সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে বলেছে।
গতকাল রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমার স্বাক্ষর করা অফিস আদেশে বিভাগীয় উপপরিচালকদের তথ্য পাঠানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তের আলোকে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়গুলোয় রোববার থেকে রুটিন অনুযায়ী সরাসরি শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষার্থী সরাসরি পাঠদানে উপস্থিত রয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্য প্রয়োজন। প্রত্যেক বিভাগের জেলাভিত্তিক তথ্য সমন্বয় করে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, ৫৪৪ দিন পর গতকাল রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সব অপেক্ষার অবসান হয়ে গেছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার খুলেছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা। ফলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৭ মার্চ বন্ধ করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর এখন পর্যন্ত ২৩ দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ স্কুল-কলেজ খোলার চূড়ান্ত ঘোষণা আসার পর থেকেই ব্যস্ত সময় পার করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। একদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালান। আরেক দিকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক রুটিন তৈরির পাশাপাশি ক্লাসরুমে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, হাত ধোয়াসহ সব নির্দেশনাই মানা হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর ক্লাসে বসার আনন্দে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা। এক সপ্তাহ ধরে তারা স্কুলব্যাগ, ড্রেস, জুতা ইত্যাদি কিনে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাদের স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
নির্দেশনা অনুযায়ী, সারা দেশের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকার অনেক স্কুল-কলেজ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেনি। আর বর্ষাকাল হওয়ায় কোনো কোনো স্কুলের সামনে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে অনেক স্কুল তাদের পাঠদান শুরু করতে পারবে না।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, সব দিন শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হবে না। শুধু পিইসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা দৈনিক ক্লাস করবে। বাকিদের একদিন সরাসরি পাঠদান হবে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো অনলাইনে বা টেলিভিশনে দূরশিক্ষণে পাঠদান চলবে।