বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির নিবন্ধনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ শিক্ষা বর্ষের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের তারিখ ছিল ১০ জুন পর্যন্ত। এ জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছিল ২৩০ টাকা। এরপর বিলম্ব ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বিলম্ব ফি-সহ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৮০ টাকা করে আদায় করার বিধান রয়েছে। কিন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা মানছেন না বোর্ড নির্ধারিত এ নিয়ম। বিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, আনুষঙ্গিক অনেক খরচ থাকে বলেই অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার কম নেওয়া হচ্ছে না। এরমধ্যে ভাণ্ডারবাড়ি ছালেহা জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১ হাজার ৩৫৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাণ্ডারবাড়ি ছালেহা জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলে, বোর্ড থেকে কয় টাকা নেওয়ার নির্দেশনা আছে জানি না। তবে অন্যান্য বিদ্যালয়ে নিবন্ধন বাবদ সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা করে নেওয়া হলেও আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার টাকা করে আদায় কর হচ্ছে।
সরেজমিনে একাধিক বিদ্যালয়ে কথা বলার সময় অনেক অভিভাবক এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানান, গত বছর করোনা শুরুর পর তাঁরা আর্থিক সংকটে রয়েছেন। এখন কোনোমতে খেয়েপরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। এ সময়ে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ব্যয় বহন করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
ভাণ্ডারবাড়ি ছালেহা জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী বলেন, \’বোর্ডের নিয়মনীতি মেনেই নিবন্ধন ফি আদায় করা হচ্ছে। তবে বেতন, সেশন ফি ও অন্যান্য টাকা শিক্ষার্থীরা দিলে নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাউকে বাধ্য করা হয়নি।\’
ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, \’বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত এক টাকাও বেশি নেওয়া যাবে না। কোনো খরচ হলে বিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে করতে হবে। যে বিদ্যালয়গুলো অতিরিক্ত টাকা আদায় করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।\’