চলে গেলেন না ফেরার দেশে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য, বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. হানিফ (ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
গতকাল সোমবার (০১ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১০টায় ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলামিন সরোয়ার জানান, দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। সর্বশেষ চিকিৎসার জন্য তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর স ম ইমানুল হাকিম বলেন, হানিফ স্যার ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে সেখানে উন্নয়নে ভূয়সী ভূমিকা রাখেন। তার হাত ধরেই ব্রজমোহন কলেজে আধুনিক উন্নয়নের রূপ পায়। এছাড়া শিক্ষার প্রসারে তার যে ভূমিকা ছিল তা অতুলনীয়। তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন সাধারণ মানুষের মাঝে।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি শামিল শাহরোখ তমাল জানান, হানিফ স্যার বরিশাল অঞ্চলে শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবির আন্দোলনগুলোতেও তিনি ছিলেন অগ্রভাগে। বরেণ্য এ শিক্ষাবিদের প্রয়াণে আমরা গভীর শোকাহত।
বরেণ্য এই শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন-এমপি, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, এমন একজন শিক্ষাবিদ-এর মৃত্যুতে শিক্ষক সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অমর হয়ে থাকবে।
এদিকে অপর এক শোকবার্তায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহাসহ সদস্যরা এ শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশন করেন। তারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।