রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম সূচনা (২৪) এবং তার ফুপাতো ভাই রিমনের (১৪) সন্ধান মিললো ৮ দিন পর আজ সকালে। আজ শনিবার সকালে নগরীর উপকণ্ঠ নবগঙ্গায় নৌকাডুবির ঘটনাস্থল থেকেই তাদের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি মাসুদ।
তিনি জানান, আজ শনিবার সকালে মরদেহ দুটি ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। মরদেহ দুটি নদীর তীরে থাকার কারণে স্থানীয়রা তা সহজে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন।
মৃত সাদিয়া ইসলাম সূচনা ছিলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী। তিনি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় বাবা-মার সাথে বসবাস করতেন। রাজশাহীর পবা উপজেলার খোলাবোনা এলাকায় তিনি চাচা জালাল উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে এসে পদ্মায় নবগঙ্গা স্পটে নৌ-ভ্রমণে গিয়েছিলেন। আর নিখোঁজ রিমনের বাড়ি নওগাঁয়। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই-বোন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে পদ্মা নদীতে বেড়াতে গিয়ে ১৩ যাত্রী নিয়ে রাজশাহীর নবগঙ্গা এলাকায় এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে নৌকাডুবির পর থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ সময় ১১ জনকে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করা হলেও সূচনা ও রিমন নিখোঁজ ছিলেন। মরদেহ না পেয়ে দুদিন পর রোববার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে এবং তারা নদী থেকে উঠে যায়। উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারা আর জীবিত নেই বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে। তাই তিন দিন পরও তাদের স্বজনরা পদ্মায় নৌকা নিয়ে অন্তত মরদেহ দুটি খুঁজে ফিরছেন।
নৌকাডুবির ঘটনায় রাজশাহী নৌ-পুলিশের কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে দামকুড়া থানায় নৌকার দুই মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে এই মামলায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।