বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছেন যে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণে সফটওয়্যার ‘আইবাস++’ আপগ্রেড হলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা উচ্চধাপে বেতন পাবেন।
আজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সফটওয়্যার আপগ্রেড অতিদ্রুত হবে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে বেতন গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করে উচ্চধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নির্ধারিত সফটওয়্যার ‘আইবাস++’ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষকদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘আইবাস++’ সফটওয়্যার আপগ্রেডের কাজ চলছে, যা শিগগিরই সম্পন্ন হবে। ’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাঠ পর্যায়ে ‘আইবাস++’ এ বেতন নির্ধারণে সাময়িক অসুবিধার বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, অতিদ্রুত ‘আইবাস++’ আপগ্রেড সম্পন্ন হবে ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা উচ্চধাপে বেতন পাবেন।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন জাতীয় বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। বেতনগ্রেড উন্নীত করা হলেও বেতন ‘ফিক্সেশন’ করার সময় অনেকের বেতন কমে যায়। পরে এ বিষয়টির সমাধান চেয়ে অর্থ সচিবকে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চতর ধাপে শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের বিষয়ে সম্মতি দেয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, বেতন গ্রেড উন্নীতের দিন থেকেই নতুন গ্রেড কার্যকর হবে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সফটওয়্যারের কারণে তাদের বেতন ফিক্সেশনে সমস্যা ছিল। বিষয়টি দ্রুতই সমাধান হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেড উন্নীত হওয়ার তথ্য সফটওয়্যারে ইনপুট দিলে তারা নতুন বেতন কাঠামোর আওতায় আসবেন। তবে কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। গ্রেড অনুযায়ী তারা বেতন-ভাতাদি ওই দিন থেকেই পাবেন।