চলমান বৈশ্বিক মহামারিতে সরকারি নির্দেশনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী সহ বেসরকারি পর্যায়ের শিক্ষকরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন অনেক শিক্ষক এবং কলেজের শিক্ষার্থী টিউশনি করে পড়াশুনার খরচ জোগাতো। তারা টিউশনির টাকা দিয়েই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন সেমিস্টার ফি দিত।
কিন্তু সরকারি নির্দেশনায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবেতন জীবন যাপন করছে তারা। কারণ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।
তাই সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির (বিএফবিএস) আয়োজনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়, তারা সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এবং করোনায় শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফসহ দেশের শিক্ষা সংকট নিরসনে ১৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়াও দাবিগুলো নিয়ে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ঘরবন্দি থাকায় তারা নানারকম মানসিক হতাশায় ভুগছেন। শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া দরকার।
এ সময় সংগঠনটি, সরকারি চাকরির সময়সীমা থাকায় ২১ বছর বয়সের মধ্যেই গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত এবং জাতীয়করণ, বাদপড়া প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিএফবিএসের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম শরীফুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুর রহমান, পরিচালক ড. সৈয়দ আর-আমীন রোমান প্রমুখ।