প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ \’অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প\’ এর আওতায় ছেলেদের তিনটি নতুন হলের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। মহামারির এই সময়ে \’চুক্তি ভঙ্গ করে\’ নির্মাণ কাজ শুরু করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ ও সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ ও বিএনপি, বাম এবং আওয়ামীপন্থী (একাংশ) শিক্ষকদের জোট \’সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ\’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে এই উন্নয়ন কাজ বন্ধ করারও দাবি জানান।
সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলে, উন্নয়নের নামে অর্থ লুটপাটের উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে ছেলেদের তিনটি হল নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বরাবরের মতো উপাচার্য তার খেয়াল খুশি মতো স্বেচ্ছাচারী কায়দায় স্থান নির্ধারণ করেছেন।
আমরা মনে করি, উপাচার্যের উচিত ছিল ক্যাম্পাস এবং দেশবাসীর উপর মহাদুর্যোগের প্রকোপ কিভাবে লাঘব করা যায় সে বিষয়ে অংশীজনদের সাথে পরামর্শ করা।
উচিত ছিল এ ধরণের দুর্যোগকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় গবেষণাগারে স্থাপিত একাধিক পিসিআর মেশিনে কিভাবে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে সরকারের সাথে যোগাযোগ করা। অথচ সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে তিনি তড়িঘড়ি করে সবার দৃষ্টি এড়িয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ছাত্রদের হল নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি মিখা পিরেগু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, মেনে নেওয়া দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন না করে নির্মাণকাজ চালানো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনের সাথে স্পষ্ট প্রতারণা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এই প্রতারণার দায়ভার নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। উদ্ভুত যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গ্রহণ করতে হবে।