করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের এক দিনের বেতন কর্তন করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশে সংকটময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী এর সংক্রমণের শিকার হয়েছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বন্ধের মেয়াদ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
এর ফলে হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে অভাব-অনটন দেখা দিচ্ছে। অনেক অসচ্ছল পরিবারের সন্তান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে, যারা প্রধানত টিউশনি করে তাদের খরচ নির্বাহ করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের টিউশনি বন্ধ রয়েছে এবং অনেকের মা-বাবার কোনো কাজ না থাকায় তাদের জীবন নির্বাহ করা প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের আরো কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়লে তা মোকাবেলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে অর্থের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।
এমতাবস্থায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী পরিষদ শিক্ষকদের মূল্যবান মতামত ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সম্মানিত শিক্ষকের এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ অর্থ এপ্রিল মাসের বেতন থেকে কর্তন করা হবে এবং তা এই বিপদকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশেষ করে অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
উল্লেখ্য, যে সকল সম্মানিত শিক্ষক তাদের বেতন কর্তনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেছেন (মোবাইল যোগাযোগে বা সভাপতি বরাবর ইমেইলে) তাঁদের কোনো প্রকার অর্থ কর্তন করা হবে না। এর পরেও যদি কোনো শিক্ষক তাঁর বেতন হতে অর্থ কর্তনে অনিচ্ছুক হন তবে তাঁর নাম আগামী ২০ এপ্রিল এর মধ্যে পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) বরাবর জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।