তামান্না আক্তার নূর। প্রতিবন্ধি হয়েও তিনি একের পর এক সফলতা দেখিয়ে চলেছেন। একপায়ে লিখেই সেরা ছাত্রীর তকমা লাগিয়েছেন গায়ে। অদম্য ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর পর এবার এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি। তার ওই সফলতায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি।
অদম্য সেই তামান্নার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের তার বাসায় ডেকে এনে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তামান্না আকাশ ছুঁতে চায়। সেই সঙ্গে চায় পিএইচডি করতে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার চলার পথে সব সময় সঙ্গী হিসেবে থাকবে। আজ থেকে তার পড়াশোনার সব দায়িত্ব ছাত্রলীগের। এ সময় রাব্বানী তামান্নাকে বোন হিসেবে ফেসবুক লাইভে পরিচয় করিয়ে দেন।
তামান্না জানান, রাব্বানী ভাই যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা নেই। এখন আমার মনে হচ্ছে, অনেকেই আমার পাশে আছে।
উল্লেখ্য, তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির মেয়ে। জন্মগতভাবেই তার দুই হাত ও এক পা নেই। শরীরে শুধু একটি মাত্র পা-ই তার চালিকাশক্তি। যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া জে কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষার হলে সে এক পায়ে লিখে। তার এক পায়ে পরীক্ষা দেয়া নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। সবাই অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। আর পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, তামান্না জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাংলা বাদে প্রত্যেকটি বিষয়ে ‘এ’ প্লাস পেয়েছে সে। অদম্য ইচ্ছাশক্তির বলেই এমনটি সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১১০৫ ঘণ্টা, ২৮ মে, ২০১৯
লেটেস্টবিডিনিউজ/এসকেবি