কমেছে চাল ও মুরগির দাম

দেশের চলমান নানা সঙ্কট এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মে বাড়তে থাকা সব ধরনের চালের দাম এ সপ্তাহে কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে মুরগির দামও। ফলে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। তবে সব ধরনের সবজির দামে কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে, পূর্বের তুলনায় দাম বৃদ্ধি দেখা গেছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা ও পারিজা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৭ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট কেজি প্রতি (ভালো মানের) ৬২ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৫-৫৬ টাকা, বিআর-২৮ ৫৫ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৬৫ টাকা, নাজিরশাইল (নরমাল) ৫৫, হাস্কি ৫৪, পাইজাম চাল ৫২ টাকা, বাসমতি ৬৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭২ টাকা এবং পোলাও চাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা কমেছে। কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০টাকা। লেয়ার মুরগি ১০ টাকা কমে ১৯০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি পিস ৪৪৫ টাকা; পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২০-৫৪০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। আজকের বাজারে কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। এছাড়া শিম ১০০ টাকা; হাইব্রিড টমেটো ১২০ টাকা; শশা ৬০ টাকা; চাল কুমড়া পিস প্রতি ৪৫-৫৫ টাকা; কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা; পটল ৫০ টাকা; ঢেঁড়স ৬০ টাকা; ঝিঙ্গা ৬০ টাকা; চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা; করলা ৬০ টাকা; কাকরোল ৫০ টাকা; পেঁপে প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা; কচুরমুখী ৫০ টাকা; আমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ টাকা; বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা; পালং শাক আঁটি প্রতি ২০ টাকা; লালশাক ২০ টাকা; পুঁইশাক ৩০ টাকা এবং লাউশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে ছোলা কেজি প্রতি ৮৫ টাকা; দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ৯০ টাকা; মাসকলাই ১২৫ টাকা; দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি