বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি)। তিন বছর আগে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আরসিবিসির সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে।
ওই চুরির ঘটনায় আরসিবিসির নাম জড়ানোয় ফিলিপাইনের ওই ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মাামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আরসিবিসির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ১ ফেব্রুয়ারি মামলা করা হয়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আরসিবিসি মামলা করেছে বলে বিদেশি বার্তা সংস্থার মাধ্যমে জেনেছি।
এটি যেহেতু আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা তাই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল এখন ফিলিপাইনে। তারা দেশে এলে এ বিষয়ে বলতে পারবেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেবরুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ৭০টি ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১৯২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে নেয়ায় চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে একটি পরিশোধ অর্ডারে শ্রীলঙ্কায় দুই কোটি ডলার ও চারটি অর্ডারে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের একটি শাখার ভুয়া গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়।
শ্রীলঙ্কা থেকে ইতোমধ্যেই চুরি হওয়া সব অর্থ ফেরত এসেছে। ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের মধ্যে এক কোটি ৫০ ডলার দেশটির কোর্টের আদেশে ফেরত আনা হয়েছে। বাকি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার অনাদায়ী রয়েছে, যা আরসিবিসির কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত জানুয়ারিতে আরসিবিসির সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মাইয়া দেগুইতো অর্থপাচারের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে আরসিবিসি থেকে জানানো হয়েছে, চুরি যাওয়া ওই অর্থ এখন তাদের দখলে নেই।
কোম্পানির সুনাম ও ভাবমূর্তির ওপর আক্রমণ চালানোয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি পেসো (১৯ লাখ ডলার) দাবি করে মামলা করেছে আরসিবিসি।