অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের হবে এবং তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১০ শতাংশ।’
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতৎকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দুই দিনব্যাপি সৌদি প্রতিনিধিদলের ৫২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী ডঃ মজিদ বিন আবদুল্লাহ আল ক্যাসাবি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি প্রতিনিধিদের সামনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের ১০টি বিষয় উল্লেখ্য করেন।
এ সময় সৌদি মন্ত্রী ক্যাসাবি বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় খুলতে যাচ্ছে। আশা করি দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।’
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘শেষ তিন বছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১১, ৭ দশমিক ২৮ ও ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ । ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হবে। আমাদের আশা ২০২০ সালের মধ্যে ৩১তম এবং ২০৪১ সালে ২০তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ।’
শেষ বছরে দুই লাখ ৮৭ হাজার বাংলাদেশি হজ ও ওমরাহ পালন করেছে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর হজ ও ওমরাহ পালনের সংখ্যা বাড়ছে।’
বাংলদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের( বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে গিয়ে রাজা ও প্রিন্সের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যে আলোচনা করেছিলেন, সেখানে এই সফরের একটা ইঙ্গিত ছিল। তাদের সঙ্গে বেশকিছু প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। আলোচনা ভালো হলে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসতে পারে।’
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে গিয়ে ডাইভারসিফিকেশন অর্থনীতিতে পরিণত করা হচ্ছে সৌদি আরবকে। তাদের আগ্রহের সঙ্গে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহ মিলে যায়। তাই বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ তাদের সঙ্গে বিনিয়োগের আশা প্রকাশ করা যায়।’