রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী আবাসন মেলার শেষ দিন আজ। শেষ দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় ভিড় জমাতে থাকেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। তাদের ভিড়ে মেলায় অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে বেশ উৎসাহ মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
মেলা উপলক্ষে ফ্ল্যাট প্লটে চলছে বিশেষ মূল্যছাড় ও প্যাকেজ দিচ্ছে আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ফ্ল্যাটের পাশাপাশি প্লটেরপ্রতিও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হচ্ছে এসব প্যাকেজ। তেমনি ঢাকার অদূরে প্রতি কাঠা সর্বনিম্ব মাসিক তিন হাজার ৮৭৫ টাকা কিস্তিতে দিচ্ছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী গ্রুপ।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটির ৬৩ নম্বর স্টলে গিয়ে জানা যায়, প্রতি কাঠা মাসিক ৩৮৭৫ টাকা কিস্তিতে জমি বুকিং দিতে পারবেন দর্শনার্থীরা। সর্বোচ্চ ১০ বছরের দীর্ঘ মেয়াদে চার লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন ক্রেতারা। তবে এর জন্য শুরুতেই বুকিং ও ডাউন পেমেন্ট বাবদ পরিশোধ করতে হবে আড়াই লক্ষ টাকা। কিন্তু যদি কেউ যদি এককালীন মূল্য পরিশোধ করলে প্রতি কাঠা জমি পাওয়া যাবে মাত্র তিন লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায়।
স্টলের কর্মরত পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী গ্রুপের জ্যেষ্ঠ্য নির্বাহী (কর্পোরেট সেলস) রাইসুল ইসলাম বলেন, মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর গ্রাহকদের উদ্দেশ্য করে আমরা এই টার্গেট সাজিয়েছি। পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কের কাঞ্চন ব্রীজের খুব কাছেই আমাদের প্রজেক্ট সাইট। অধিকাংশ জমিই এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। গ্রাহক চাইলে এখনই বুঝে নিতে পারেন। আমরা রেজিস্ট্রি করে সম্পূর্ণ নিষ্কন্টক জমি বুঝিয়ে দিতে পারবো। আর বাকি অল্প কিছু জমি আছে যা কয়েক বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে।
আগ্রহী দর্শনার্থীরা চাইলে প্রজেক্ট সাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তা। রাইসুল ইসলাম আরও বলেন, কাঞ্চন ব্রীজের আগে পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কের উভয় পাশে এখন যে জমিগুলো আছে সেগুলোর দাম ইতিমধ্যেই অনেক বেশি।তাই গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে `বাজেট ফ্রেন্ডলি` প্যাকেজ আমরা এখানে দিচ্ছি। আমাদের প্রজেক্ট সাইট থেকে ঢাকার মূল অংশ, নরসিংদী-সিলেট, নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লা-চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই ভালো।
তাই যারা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি পরিপূরণ এবং পরিকল্পিত একটি নগরে থাকতে চান তাদের কাছে আমাদের প্রজেক্ট আদর্শ স্থান হতে পারে। আবার এক কালীন মূল্য পরিশোধে মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় শুধু আমরাই জমি দিচ্ছি।
মেলাতে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সামিয়া রহমান বলেন, এককালীন মূল্য পরিশোধে দাম সাড়ে তিন লাখ ঠিক আছে। তবে কিস্তিতে নিতে গেলে প্রতি কাঠা জমির দাম পরে সাড়ে পাঁচ লাখ। এটা একটু বেশি মনে হয়েছে আমার কাছে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস