তাড়াতাড়ি কমতে পারে চালের দাম

ভারতে মোটা চালের ঊর্ধ্বমুখী দর দু\’দিন ধরে কমতে শুরু করেছে। এতে কিছুটা কম মূল্যে চাল কিনছেন আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, বিভিম্ন স্থলবন্দর দিয়ে চালবোঝাই তিন হাজার ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। এসব চাল আসার পর শিগগির দেশের বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত ঈদুল আজহার পর ভারতে মোটা চালের দাম বাড়তে থাকে। ওই সময় ভারত চাল রফতানি করবে না বলে গুজব ছড়ালে বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। এ অবস্থায় গতকাল রোববার রাজশাহীর বাজারে আমদানি করা মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হয় ৫০ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগে এই চাল বিক্রি হয়েছিল ৪৪ টাকায়।

ঈদের আগে ৫২ টাকায় বিক্রি হওয়া আটাশ চাল এখন ৫৬, ৫০ টাকার আটাশ চাল ৫৪ ও ৪৮ টাকার আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। ঈদের আগে ৫৪ টাকায় বিক্রি হওয়া মিনিকেট চাল ৫৮ এবং ৫৫ টাকার মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৪৪ টাকার গুটি স্বর্ণা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। মোটা চালের দাম এভাবে বাড়তে থাকায় নিল্ফম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েন।

রাজশাহীর সাহেববাজারের এপি চাল ভান্ডারের মালিক অশোক প্রসাদ বলেন, ঈদের পর ধানের দাম বাড়তে থাকে এবং মোটা চালের আমদানি কমে যায়। তাই চালের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ভারতেও চালের দাম বেড়ে যায়। তাই আমদানিকারকরা আবারও দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অল্প করে চাল আমদানি শুরু করেন। এতে খরচ বেড়ে যায়। আমদানিকারকরা বেশি করে চাল আমদানি করলে দাম কমত বলে মনে করেন অশোক প্রসাদ। সাহেববাজারের চাল ব্যবসায়ী সম্রাট আলীজানান, চালের আমদানি বেশি হলে দাম কমবে। তা ছাড়া বাড়তেই থাকবে। পাইকারি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, চালের বাজার অস্থিতিশীল রেখে মধ্যস্বত্বভোগী একটি গ্রুপ দুই দেশেই সক্রিয় রয়েছে। তারা ভারতে প্রচার করে বাংলাদেশ চাল নেবে না। আর বাংলাদেশে প্রচার করে ভারত চাল রফতানি বন্ধ করে দেবে। এভাবে প্রপাগান্ডা চালিয়ে তারা চালের দাম বাড়িয়ে দেয়।

তবে গতকাল আশার কথা শুনিয়েছেন চাল আমদানিকারকরা। তারা জানিয়েছেন, গত দু\’দিন ভারতে চালের দাম বাড়েনি। বরং কিছুটা কমেছে।

নওগাঁর চাল আমদানিকারক বেলাল হোসেন জানান, গত শুক্রবার তিনি প্রতি টন চাল কিনেছেন ৫০৫ ডলারে, তা শনিবার সন্ধ্যায় ছিল ৪৯২ ডলার। ওই চাল দেশে প্রবেশ করলে খরচসহ কেজি পড়বে ৪২ টাকা। পাইকারি ৪৩ টাকা কেজি বিক্রি হলেও খুচরা বাজার থাকবে ৪৪ টাকার মধ্যে।

ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত শনিবার চালবোঝাই ১০০টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এখন ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে চালবোঝাই আরও ৬০০টি ট্রাক। এ ছাড়া বেনাপোল দিয়ে এক হাজার, হিলি দিয়ে এক হাজার ও ভোমরা দিয়ে চালবোঝাই ৫০০টি ট্রাক ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৬ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ

Scroll to Top