নানা ইস্যুতে অস্থির বিশ্ববাজার। এ অবস্থায় জ্বালানি, বন্দরের সংকট আর শিল্পখাতে অসন্তোষ জিইয়ে রেখে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা কীভাবে সম্ভব? এমন প্রশ্ন তুলে ভালো ঋণগ্রহীতা ও মন্দ ব্যাংকগুলো রক্ষার দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার।
গেল অর্থবছরে দেশের রফতানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। চাহিদা থাকার পরও ডলার সংকটে কাঁচামালসহ পণ্য আমদানিতেও ব্যয় কমানো হয়েছে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছে ১০ শতাংশের উপরে; বিপরীতে রয়েছে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা। দেশের অর্থনীতির এমন বহুমুখী চাপ সামলাতে যখন হাতে নেয়া হয়েছে সংস্কার কার্যক্রম, তখনও রাশিয়া-ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতায় ডুবে আছে বিশ্ব অর্থনীতি।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিখাতে ভর করে কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় বাংলাদেশের উন্নয়নকে, সেই পথ বের করতেই শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বারের সভাকক্ষে আয়োজন করা হয় সেমিনার। যেখানে হাতে গোনা ১০টি ব্যাংকের জন্য যেন পুরো আর্থিকখাত আস্থাহীন হয়ে না পড়ে, সেই তাগিদ দেন সংগঠনটির সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
এ সময় যেসব তথ্যের ভিত্তিতে দেশের মোট জনসংখ্যা, মাথাপিছু আয়ের হিসাব কষে সাজানো হয়েছে উন্নয়ন পরিকল্পনা; তা কতটুকু সঠিক? এমন প্রশ্ন তোলেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য অর্থনীতিবিদ এম আবু ইউসুফ।
সেমিনারে নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে রাজনৈতিক প্রভাব-নির্ভর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কতটা সম্ভব হবে- তা নিয়ে স্পষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. সেলিম আল মামুন বলেন, ‘জিডিপি ৫ শতাংশ অর্জন করা গেলেও এই সময়ের বিবেচনায় এটা সাফল্য হিসেবে মনে করি।’
খাদ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নজর দেয়ার তাগিদ দেন বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ।
ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর আগামী দিনের অর্থনৈতিক কৌশল সাজানোর তাগিদ আসে ডিসিসিআইর এ সেমিনার থেকে।