আগামীকাল থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প ও শ্রম উপদেষ্টারা। অন্যথায় সুযোগ নেবে তৃতীয়পক্ষ। তারা জানান গার্মেন্টস খাতের অস্থিরতা নিরসনে কাজ করছে একটি সেল। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে উদ্যোক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আগামীকাল কোনো ধরনের ভাঙচুর হলে শ্রম আইন অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। বিজিএমইএ আয়োজিত ক্রিপক্ষীয় সভায় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এসব কথা জানানো হয়।
সভায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, তৈরি পোশাক খাতের সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে, শ্রমিক-মালিক কেউই লাভবান হবে না; সুযোগ নেবে তৃতীয়পক্ষ।
এ সময় শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার গঠিত সেল।
এ সময় এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, কষ্ট করে গত মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। কারফিউ আর আন্দোলনের কারণে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এরইমধ্যে, ২৭০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে আরও অনেক গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সংগঠনের নেতারা বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ইউরোপের লোকজন পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে।