ঢাকার শেয়ারবাজারে দিনের শুরুতে সূচক ও লেনদেনে গতি কম

সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে আজ লেনদেন শুরু হয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। তবে সূচকের উত্থানপতন দেখা যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও বাজারে সূচক ও লেনদেনে ধীর গতি ছিল।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স লেনদেনের প্রথম ৩০ মিনিটে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮০৪ পয়েন্টে। সূচক বাড়লেও লেনদেনের গতি কিছুটা কম বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। ঢাকার বাজারে প্রথম ৪০ মিনিটে লেনদেন ছাড়িয়েছে মাত্র ১০০ কোটি টাকা। যদিও শুরুতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেশি ছিল।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউস লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের তথ্যানুযায়ী, লেনদেনের প্রথম ৩০ মিনিটে সূচকের উত্থানে যেমন কিছু ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের ভূমিকা দেখা যাচ্ছে, তেমনি সূচক পতনের পেছনেও কিছু ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের দরপতনের প্রভাব রয়েছে।

লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূচকের পতনে বড় ভূমিকা রাখছে ব্র্যাক ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও মবিল যমুনা লুব্রিকেন্টসের মতো কোম্পানির শেয়ার। একই সময়ে সূচকের উত্থানে বড় ভূমিকা রাখা কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও সাউথইস্ট ব্যাংক।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো মৌলভিত্তির কিছু শেয়ারের দাম গত কয়েক দিনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। এ কারণে এসব কোম্পানির শেয়ার থেকে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার চাপ কিছুটা বেড়েছে। ফলে এসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির গতি কিছুটা শ্লথ, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সূচকে। অন্যদিকে গত কয়েক দিনে যেসব কোম্পানির শেয়ারের কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে, সেই সব শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে এসব শেয়ারের দাম বাড়ছে, যা সূচকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক খাত বা এক কোম্পানি থেকে অন্য খাত বা অন্য কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের বিষয়টি বাজারের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। কিছু শেয়ারের মুনাফা তুলে নিয়ে বিনিয়োগকারীরা অন্য কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন, এটাই বাজারের স্বাভাবিক ধারা বা প্রবণতা। সামগ্রিকভাবে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, এটি বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক। বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ থাকলে বাজারেও গতি থাকবে।

ডিএসইতে আজ প্রথম ৪০ মিনিটে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এ সময়ে কোম্পানিটির প্রায় ১০ কোটি টাকার সমমূল্যের শেয়ারের হাত বদল হয়। যদিও শেয়ারের দাম আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে।

Scroll to Top